সেনেট থেকে প্রেসিডেন্টের টেবিলে ঋণসীমার নতুন বিল

টিবিএন ডেস্ক

জুন ৩ ২০২৩, ৫:৩৭

৬৩-৩৬ ভোটে ফিসক্যাল রেসপন্সিবিলিটি অ্যাক্ট সেনেটে পাস হওয়ার মুহূর্ত। ছবি: সংগৃহীত

৬৩-৩৬ ভোটে ফিসক্যাল রেসপন্সিবিলিটি অ্যাক্ট সেনেটে পাস হওয়ার মুহূর্ত। ছবি: সংগৃহীত

  • 0

ঋণখেলাপি হওয়া থেকে এ যাত্রায় সম্ভবত রক্ষা পেতে যাচ্ছে অ্যামেরিকা। সেনেটে বৃহস্পতিবার রাতে সংখ্যাগরিষ্ঠের ভোট পেয়ে ঋণসীমা বাড়ানোর বিল প্রেসিডেন্টের টেবিলে পৌঁছেছে। এখন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সই করলেই আইনে পরিণত হবে বিলটি, দূর হয়ে যাবে অ্যামেরিকার অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের আশঙ্কা।

ফিসক্যাল রেসপন্সিবিলিটি অ্যাক্ট নামের বিলটি সেনেটে ৬৩-৩৬ ভোটে পাস হয়েছে। বেশিরভাগ ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান সেনেটররা মনে করছেন, এই বিল কোনোভাবেই নিখুঁত নয়। তবে এখন দেশের অর্থনৈতিক বিপর্যয় এড়াতে এটি পাস হওয়া জরুরি।

বাইডেন বলেন, ‘আমি যত দ্রুত সম্ভব বিলে সই করব। আর এটির বিষয়ে অ্যামেরিকার জনগণের উদ্দেশ্যে কাল (শুক্রবার)  সরাসরি বক্তব্য দেব।’ 

চার জন ডেমোক্রেট, একজন স্বতন্ত্র ও ৩১ জন রিপাবলিকান এই বিলের বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন।

বিল পাশের পর সেনেট মেজরিটি লিডার চাক শুমার টুইট করে বলেন, ‘সমালোচনা থাকার পরও অ্যামেরিকান পরিবারগুলোর সহায়তায়, গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচিগুলো রক্ষায় ও ভয়াবহ বিপর্যয় এড়াতে এই বিলটি আমরা পাস করেছি। আর কালক্ষেপণ না করে প্রেসিডেন্ট বাইডেন এতে সই করবেন- সেই অপেক্ষায় আছি।’

কট্টর ডানপন্থি রিপাবলিকানদের কঠোর বিরোধিতার পরও লাল শিবিরের ১৪৯ আইনপ্রণেতা এই ‘ফিসক্যাল রেস্পন্সিবিলিটি অ্যাক্টের’ পক্ষে বুধবার রাতে হাউয ফ্লোরে ভোট দিয়েছেন। সঙ্গে যোগ হয় ১৬৫ ডেমোক্র্যাট ভোট। সব মিলিয়ে ৩১৪-১১৭ ভোটে হাউয থেকে সেনেটে যায় বিল। 

এখন এটিকে আইন হিসেবে কার্যকর করতে হবে ৫ জুনের আগে। সেদিনই ঋণ শোধের শেষ দিন বলে এর আগে সতর্ক করেছিলেন ট্রেযারি সেক্রেটারি জ্যানেট ইয়েলেন।

দেশটি এখন ৩১.৪ ট্রিলিয়ন ঋণে আছে। সেটি শোধ করার সময়সীমা আগে ছিল ১ জুন। তবে ঋণসীমা বাড়ানো নিয়ে ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকানরা সমঝোতায় পৌঁছাতে পারছিল না। পরিস্থিতি বিবেচনায় সময়সীমা চার দিন বাড়িয়ে দেন ট্রেযারি সেক্রেটারি।

এরপর গত ২৮ মে সমঝোতা চুক্তি করেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন ও স্পিকার ম্যাকার্থি। সেটি ৯৯ পৃষ্ঠার বিল আকারে মঙ্গলবার হাউয কমিটিতে ৭-৬ ভোটে অনুমোদিত হয়ে পৌঁছায় হাউয ফ্লোরে। 

হাউয কমিটিতে এই বিল নিয়ে বেশ উত্তেজনা ছড়ায়। কট্টর রিপাবলিকান আইনপ্রণেতারা জোরেশোরে এটির বিরোধিতা করেন। স্পিকার ম্যাকার্থির ওপর তাদের অসন্তোষ প্রকাশ্যে আসে। এমনকি বিল পাস হলে তাকে পদ থেকে সরিয়ে দেয়ার হুমকিও আসে।

নিজ দলের এই বিভক্তিতে বিপাকেই পড়েছিলেন ম্যাকার্থি। তার ওপর ছিল রিপাবলিকানদের ভোট জোগাড়ের চাপ। অন্যদিকে কিছু ডেমোক্র্যাটদের আপত্তি থাকলেও বেশিরভাগই বিলের পক্ষে অবস্থান নেয়ায় বাইডেন অনেকটাই নিশ্চিত ছিলেন।


0 মন্তব্য

মন্তব্য করুন