ইয়েলেন তার চিঠিতে উল্লেখ করেন অর্থশূন্য হয়ে পড়ার সময় ৫ জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এর আগে তিনি সতর্ক করেছিলেন যে, ৩১.৪ ট্রিলিয়ন ঋণ রয়েছে সরকারের। সেটি শোধ করার সময়সীমা শেষ হবে ১ জুন।
ইয়েলেন তার চিঠিতে লেখেন, 'সবশেষ প্রাপ্ত উপাত্ত অনুযায়ী কংগ্রেস যদি ঋণসীমা বাড়াতে ব্যর্থ হয় তাহলে ৫ জুন সরকার ঋণ পরিশোধে প্রয়োজনীয় অর্থশূন্য হয়ে পড়বে।
এ চিঠির মাধ্যমে প্রথমবারের মতো অ্যামেরিকান সরকারের ঋণ খেলাপি হওয়ার সম্ভাবনার সময়সীমা বাড়ল। ঋণসীমা বাড়াতে ব্যর্থ হলে ইতিহাসে প্রথমবারের মতো খেলাপি হবে অ্যামেরিকা।
এর ভয়াবহ প্রভাব পড়বে সরকারি খাত থেকে অনুদান নিয়ে চলা প্রতিটি সংস্থা বা কার্যক্রম এমনকি ফেডারেল কর্মচারীদের বেতন-ভাতার ওপরও।
বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউযের শীর্ষ কর্মকর্তা ও রিপাবলিকান আইনপ্রণেতারা ঋণসীমা বাড়ানো সংক্রান্ত চুক্তির আলোচনা করেছে বলে এক প্রতিবেদনে জানায় দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস।। ঋণসীমা দুই বছর বাড়ালেও এই সময়ের মধ্যে খরচ কমাতে কড়া বিধিনিষেধ আরোপের কথাও ভাবছেন তারা।
রিপাবলিকান ও ডেমোক্যাটিক দল ঋণসীমা বাড়াতে চুক্তিতে পৌঁছালেও তা নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ায় কংগ্রেসের দুই চেম্বারে পাস হতে অন্তত ৭২ ঘণ্টা সময় লাগবে।