ট্রাম্পের মামলায় জাস্টিসরা ‘দায়মুক্তির’ বিষয়টি বিবেচনা করছেন

টিবিএন ডেস্ক

এপ্রিল ২৫ ২০২৪, ১৮:৫৫

আদালতে ডনাল্ড ট্রাম্প। ফাইল ছবি

আদালতে ডনাল্ড ট্রাম্প। ফাইল ছবি

  • 0

প্রেসিডেন্টের দায়িত্বে থাকাকালীন গৃহিত কিছু পদক্ষেপের জন্য ফৌজদারি অভিযোগের ক্ষেত্রে ‘ইমিউনিটি’ পান, এমন যুক্তি বিবেচনার ইঙ্গিত দিচ্ছেন ইউএস সুপ্রিম কোর্টের কনসারভেটিভ জাস্টিসরা। ২০২০ সালের নির্বাচনের ফল পালটে দিতে নেয়া পদক্ষেপের জন্য ডনাল্ড ট্রাম্পের ইমিউনিটি বা দায়মুক্তির দাবির বিষয়ে যুক্তি শুনেছে আদালত।

বৃহস্পতিবার প্রায় তিন ঘন্টা ধরে, জাস্টিসরা ট্রাম্পের আইনজীবী ও স্পেশাল কাউন্সেল জ্যাক স্মিথের আইনজীবী উভয়ের যুক্তি শোনেন।

স্পেশাল কাউন্সেল জ্যাক স্মিথ ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ২০২০ সালের নির্বাচনে জো বাইডেনের জয়ের ফলকে উল্টে দেয়ার ষড়যন্ত্র এবং পদে থাকার জন্য জালিয়াতি ও হস্তক্ষেপের অভিযোগ এনে মামলাটি করেন।

রয়টার্স জানিয়েছে, শুনানির সময় কয়েকটি প্রশ্ন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে অন্যায়ের অনুমান নির্ভর কয়েকটি উদাহরণ তুলে ধরে। সে সময় কয়েকজন জাস্টিস প্রেসিডেন্টদের কোনও স্তরের ‘দায়মুক্তির’ অভাব সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

কনসারভেটিভ জাস্টিস নিল গোসার্চ যুক্তি-তর্কের সময় বলেন, আমরা যুগান্তকারী একটি রায় দিতে যাচ্ছি।'

আরও পড়ুন: গ্যাগ অর্ডার আরোপ ট্রাম্পের প্রকৃত অবস্থারই প্রকাশ

আরেক জাস্টিস স্যামুয়েল অ্যালিটো মন্তব্য করেন যে, সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প, ‘অদ্ভুত এক অনিশ্চিয়তার মাঝে রয়েছেন’। অ্যালিটো এও উদ্বেগ প্রকাশ করেন যে, প্রেসিডেন্টদের অভিযুক্ত হওয়ার বিষয়ে উদ্বিগ্ন থাকতে হয়।

অ্যালিটো স্পেশাল কাউন্সেলের আইনজীবী মাইকেল ড্রিবেনকে জিজ্ঞেস করেন, ‘যদি একজন ক্ষমতাসীন যিনি অত্যন্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনে হেরে যান এবং জানেন যে অফিস ছাড়ার পরে তার শান্তিপূর্ণভাবে অফিস ছাড়ার সম্ভাবনা কম। বরং তাকে রাজনৈতিকভাবে তিক্ত বিচারের মুখোমুখি করা হতে পারে। এটি কি আমাদের এমন একটি চক্রের দিকে নিয়ে যাবে না যা গণতন্ত্র হিসাবে আমাদের দেশের কার্যকারিতাকে অস্থিতিশীল করে তোলে?

‘বিশ্বে এ ধরণের বহু উদাহরণ রয়েছে যেখানে আমরা এই প্রক্রিয়াটি দেখেছি। যেখানে পরাজিত ব্যক্তিকে কারাগারে নিক্ষেপ করা হয়েছে।’

ড্রিবেন এর জবাবে বলেন, ‘আমি মনে করি বিষয়টা ঠিক এর উল্টো, বিচারপতি অ্যালিটো। নির্বাচনের ফল নিয়ে সংশয় প্রকাশের জন্য যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা রয়েছে।’

আগামী নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটিক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে চ্যালেঞ্জ জানানো রিপাবলিকান প্রার্থী ডনাল্ড ট্রাম্পই হলেন প্রথম সাবেক প্রেসিডেন্ট যিনি ফৌজদারি অপরাধে বিচারের মুখোমুখি হয়েছেন।

ট্রাম্পের পক্ষের আইনজীবী ডি. জন সাওয়ার, ইমিউনিটি বা ‘দায়মুক্তি’র বিধান ছাড়া প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব কতটা ভয়ঙ্কর হতে পারে তার একটি চিত্র আদালতের সামনে তুলে ধরেন।

সাওয়ার বলেন, ‘ফৌজদারি বিচার থেকে প্রেসিডেন্টের দায়মুক্তি ছাড়া, আমরা জানি কোন প্রেসিডেন্ট তার দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না। অ্যামেরিকার ২৩৪ বছরের ইতিহাসে, কোন প্রেসিডেন্টকে তার আনুষ্ঠানিক কাজের জন্য কখনও বিচার করা হয়নি।’

তিনি যোগ করেন, ‘"যদি একজন প্রেসিডেন্টকে অভিযুক্ত করা যায়, বিচার করা যায় এবং তার বিতর্কিত সিদ্ধান্তের জন্য তিনি দায়িত্ব ছাড়ার পরপরই তাকে কারাগারে পাঠানোর সম্ভাবনা থাকে তাহলে সেই ভয়ঙ্কর সম্ভাবনা প্রেসিডেন্টের সিদ্ধান্ত গ্রহণকে প্রভাবিত করবে এমন সময়ে যখন তার সাহসী ও নির্ভীক পদক্ষেপের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন।’

আরও পড়ুন: ‘দায় মুক্তি’ খারিজের রায় স্থগিত চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে ট্রাম্পের আবেদন

স্পেশাল কাউন্সেলের আইনজীবী মাইকেল ড্রিবেন বিচারপতিদের বলেন যে, ট্রাম্প একজন সরকারী কর্মকর্তার জন্য যে ধরণের ইমিউনিটি বা দায়মুক্তি চান সুপ্রিম কোর্ট সেটার স্বীকৃতি কখনও দেয়নি।

সুপ্রিম কোর্ট প্রেসিডেন্টদের ইমিউনিটির দাবি প্রত্যাখ্যান করলে, প্রেসিডেন্টদের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসামূলক মামলা ঠেকাতে শুধু প্রসিকিউটরদের ওপর ভরসা করার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন কনজারভেটিভ চিফ জাস্টিস জন রবার্টস।

রবার্টস ড্রিবেনকে বলেন, ‘আপনি জানেন অনেক ক্ষেত্রে একজন প্রসিকিউটরের পক্ষে কাউকে অভিযুক্ত হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য গ্র্যান্ড জুরির সমর্থন পাওয়া কতটা সহজ। কিছু ক্ষেত্রে প্রসিকিউটরের ওপর নির্ভরতা যথেষ্ট নাও হতে পারে।’

ড্রিবেন তার জবাবে বলেন, ‘আমি মনে করি, আদালতের কয়েক স্তরের যে সুরক্ষা ব্যবস্থা রয়েছে তা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কেমন আচরণ হবে তা নিয়ে উদ্বেগ কমিয়ে দেবে। আমরা এমন শাসনকে সমর্থন করছি না, যা সাবেক প্রেসিডেন্টদের পর্যাপ্ত প্রমাণ ছাড়া শুধু রাজনৈতিক শত্রুতার জেরে ফৌজদারি বিচারের মুখোমুখি করবে। রাজনৈতিকভাবে চালিত বিচার সংবিধান লঙ্ঘন করবে।’

বিচারপতি ক্ল্যারেন্স টমাস ড্রিবেনকে জিজ্ঞাসা করেন কেন এখনও কোন সাবেক প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলায় বিচার হয়নি। তিনি কোল্ডওয়ারের সময় কিউবায় বিতর্কিত অ্যামেরিকান অভিযানের উদ্ধৃতি দেন।

ড্রিবেন বলেন, ‘কারণ সেটা অপরাধ ছিল না।’

বিচারক অ্যালিটো ড্রিবেনকে জিজ্ঞেস করেন যে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় প্রেসিডেন্ট ফ্র্যাঙ্কলিন রুজভেল্টের জাপানিজ আমেরিকানদের ইন্টার্ন করানোর সিদ্ধান্ত নাগরিক অধিকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হিসাবে ফৌজদারি অপরাধে অভিযুক্ত হতে পারত কিনা।

ড্রিবেন বলেন, ‘বর্তমান সময়ে, হ্যাঁ। এটা অপরাধ হিসেবে গণ্য হতো।’

লিবারেল জাস্টিস এলিনা কাগান সাওয়ারকে জিজ্ঞেস করেন, ‘যদি কোন প্রেসিডেন্ট বিদেশি প্রতিপক্ষের কাছে গোপন পারমাণবিক তথ্য বিক্রি করেন, তাহলে কী তিনি দায়মুক্তি পেতে পারেন?’

সাওয়ার জবাব দেন যে, যদি সেটি ‘একটি সরকারী আইন কাঠামোর অন্তর্গত’ হয় সেক্ষেত্রে প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে মামলা করা যাবে না। মামলা করতে হলে তাকে কংগ্রেসের অভিশংসন ও পরে পদ থেকে অপসারণ করতে হবে।

কাগান আবারও জানতে চান, ‘প্রেসিডেন্ট যদি সামরিক বাহিনীকে অভ্যুত্থানের নির্দেশ দেন তাহলে কী হবে?’

সাওয়ার উত্তরে বলেন, ‘সেটাও একটি সরকারি আদেশ হতে পারে।’ সাওয়ার আবারও জানান যে, অভিশংসন ও অপসারণ ছাড়া প্রেসিডেন্টের বিচার সম্ভব নয়।

লিবারেল জাস্টিস সোনিয়া সোটোমায়র সাওয়ারকে জিজ্ঞাসা করেন যে, প্রেসিডেন্ট যদি রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীকে হত্যা করার আদেশ দেন তবে তিনি দায়মুক্ত থাকবেন কিনা?

জন রবার্টস ঘুষের বিনিময়ে একজন প্রেসিডেন্টের রাষ্ট্রদূত নিয়োগের উদাহরণ তুলে ধরেন।

সাওয়ার জানান যে, ঘুষ লেনদেন সরকারি কাজ নয়। এটি ব্যক্তিগত আচরণ, যা ইমিউনিটির অন্তর্ভুক্ত হবে না।

রবার্টস জবাব দেন, ‘ঘুষ নেয়া সরকারি কাজ না হলেও, রাষ্ট্রদূত নিয়োগ দেয়া অবশ্যই প্রেসিডেন্টের আনুষ্ঠানিক দায়িত্বের মধ্যে পড়ে।’

স্যামুয়েল আলিটো সাওয়ারকে জিজ্ঞাসা করেন যে, তিনি যে ‘সম্পূর্ণ দায়মুক্তির’ অনুরোধ করছেন সেটা কি সত্যিই ‘প্রেসিডেন্সির কার্যকারিতা’ রক্ষা করার জন্য প্রয়োজনীয় না এর চেয়ে কম মাত্রায় ‘ইমিউনিটি’তেও প্রেসিডেন্সির কার্যকারিতা রক্ষা পাবে?

জাস্টিস ক্ল্যারেন্স টমাস সাওয়ারকে জিজ্ঞাসা করেন যে, প্রেসিডেন্টের ইমিউনিটির উৎস কী?

সাওয়ার এর উত্তরে সংবিধানের অধীনে প্রেসিডেন্টকে প্রদত্ত ক্ষমতার কথা উল্লেখ করেন।

সাওয়ার অতীতের প্রেসিডেন্টদের তাদের আনুষ্ঠানিক পদক্ষেপের জন্য অভিযুক্ত হওয়ার তিনটি অনুমানমূলক উদাহরণ উত্থাপন করেন।

তিনি জিজ্ঞাসা করেন যে, জর্জ ডব্লিউ বুশকে ইরাক যুদ্ধের ন্যায্যতা প্রমাণের জন্য কংগ্রেসে মিথ্যা বলার অভিযোগে সরকারি কার্যক্রমে বাধা দেওয়ার জন্য, বা বারাক ওবামার বিরুদ্ধে ড্রোন হামলার মাধ্যমে বিদেশে অ্যামেরিকান নাগরিক হত্যার অভিযোগ বা জো বাইডেনের বিরুদ্ধেতার সীমান্ত নীতির ভিত্তিতে অভিবাসীদের দেশে প্রবেশের জন্য প্ররোচিত করার অভিযোগে অভিযুক্ত করা যেতে পারে কী?

সাওয়ার বলেন, ‘এইসবগুলো প্রশ্নের উত্তর, না।’

আরও পড়ুন: ‘হাশ মানির লক্ষ্য ছিল নির্বাচন ব্যাহত করা’

জাস্টিস এলিনা কাগান ভোটারদের ভোট একত্রিত করার ক্ষেত্রে ট্রাম্পের অভিযুক্ত ভূমিকা কী ‘আনুষ্ঠানিক’ ছিল কিনা সে বিষয়ে সাওয়ারের কাছ থেকে জানতে চান।

সাওয়ার বলেন, ট্রাম্পের আচরণ আনুষ্ঠানিক ছিল এবং নির্বাচনের অখণ্ডতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করা হয়েছে।

কাগান প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘এখানে অভিযোগ হল যে, তিনি একটি নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছেন।’

লিবারেল জাস্টিস কেটানজি ব্রাউন জ্যাকসন ১৯৭৪ সালে নিক্সনের পদত্যাগের পর রিচার্ড নিক্সনকে প্রেসিডেন্ট জেরাল্ড ফোর্ডের ক্ষমার বিষয়ে সাওয়ারকে জিজ্ঞাসা করেন।

তিনি বলেন, ‘সবাই যদি মনে করে যে প্রেসিডেন্টদের বিচার করা যাবে না, তাহলে সেটা কী ছিল?’

ইউএস সুপ্রিম কোর্টে তার ইমিউনিটি নিয়ে চলমান শুনানি প্রসঙ্গে ট্রাম্প বলেন, ‘আশা করি এটা পরিষ্কার হয়েছে যে, প্রেসিডেন্টের ইমিউনিটি থাকতেই হবে, নাহলে প্রেসিডেন্টই থাকবেন না। বা বলতে পারেন অলঙ্কারিক প্রেসিডেন্ট থাকবেন। আমাদের দেশের প্রতিষ্ঠাতারা তেমনটা চাননি।’
২০২০ সালের নির্বাচনে পরাজয়ের পর ফল পরিবর্তনের চক্রান্তের অভিযোগে ফৌজদারি মামলার মুখোমুখি হয়েছেন ট্রাম্প।

ট্রাম্পের দাবি, এসব অভিযোগে তার বিচার করা সম্ভব নয় কারণ তিনি প্রেসিডেন্টের আনুষ্ঠানিক দায়িত্বের অংশ হিসেবে এসব উদ্যোগ নেন।

ট্রাম্পের আইনজীবীরা যুক্তি দেন, সাবেক প্রেসিডেন্টের আইনি সুরক্ষা পাওয়ার অধিকার রয়েছে এবং তাকে কোনো আনুষ্ঠানিক পদক্ষেপের জন্য ফৌজদারি অপরাধে অভিযুক্ত করা যাবে না, যদি না এর আগে সেই একই পদক্ষেপের জন্য তাকে প্রথমে হাউজ অফ রিপ্রেজেন্টেটিভস এ অভিশংসিত করা না হয় এবং পরবর্তীতে সিনেটের মাধ্যমে তাকে প্রেসিডেন্টের কার্যালয় থেকে অপসারণ না করা হয়।

হাউস ট্রাম্পকে দুইবার অভিশংসন করলেও উভয় ক্ষেত্রেই সিনেটের রিপাবলিকানরা যথেষ্ট পরিমাণ ভোট দিয়ে তাকে অভিযোগ থেকে দায়মুক্তি দিয়েছেন।

চারটি ফৌজদারি অভিযোগে ট্রাম্প নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন এবং বাদী পক্ষের আইনজীবীদের প্রতি অভিযোগ তুলে বলেছেন তার নির্বাচনি প্রচারণাকে ক্ষতিগ্রস্ত করার জন্য এটি একটি রাজনৈতিক স্বার্থজড়িত উদ্যোগ।

ট্রাম্প নির্বাচনে জয়লাভ করলে তিনি নিজেকে নিজেই ক্ষমা করে দিতে পারেন অথবা বিচার বিভাগকে এই মামলা বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দিতে পারেন।

অন্যদিকে, নিউ ইয়র্কের আদালতে চলমান হাশ মানি ট্রায়ালে দিনের একমাত্র সাক্ষী ছিলেন ট্যাবলয়েড ন্যাশনাল এনকোয়্যারারের প্রকাশক ডেভিড পেকার।

পেকার দাবি করেন, ট্রাম্পের হয়ে তিনি দুবার হাশ মানি লেনদেনে জড়িত ছিলেন। পেকার এও জানান যে, ট্রাম্পের সঙ্গে যৌন সম্পর্কের কাহিনী ১২০ হাজার ডলার বিক্রি করার চেষ্টা করছিলেন স্টর্মি ড্যানিয়েলস। পেকার ট্রাম্পকে এ তথ্য জানিয়েছিলেন।

পেকার এও দাবি করেন যে, ট্রাম্প তার কাছ থেকে প্লেবয় মডেল ক্যারেন ম্যাকডুগাল সম্বন্ধে খোঁজ নেন। ২০১৬ সালের নির্বাচনের আগে ট্রাম্প ও ম্যাকডুগালের সম্পর্কের প্রতিবেদন ছাপানো বন্ধ করতে ১৫০ হাজার ডলার দেন পেকার।

আদালত কক্ষে বৃহস্পতিবার যা ঘটেছে তাকে ট্রাম্প শ্বাসরুদ্ধকর হিসেবে উল্লেখ করেছেন। ডেভিড পেকারের সাক্ষ্যকে ‘অসাধারণ’ আখ্যা দেন সাবেক এ প্রেসিডেন্ট।


0 মন্তব্য

মন্তব্য করুন