টুইটারে শনিবার ক্যামেরন বলেন, ‘আমি সাধারণত মিডিয়ার আক্রমণাত্মক গুজবে কান দিই না। তবে এ বিষয়ে কথা বলার প্রয়োজন বোধ করছি। ওশেনগেট নিয়ে আমার ফিল্ম বানানোর কোনো চিন্তা নেই, কখনও হবেও না।’
জেমস ক্যামেরন অ্যাটলান্টিকের তলদেশে ৩০ বারের বেশি টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ পরিদর্শন করেছেন। ১৯১২ সালে ঘটে যাওয়া বিশ্ব ইতিহাসের অন্যতম বেদনাদায়ক এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে নির্মাণ করেন অস্কার বিজয়ী চলচ্চিত্র টাইটানিক।
টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখাতে গিয়ে ওশেনগেট সাবমার্সিবল টাইটান-এর পাঁচ আরোহীর সবাই প্রাণ হারান।
আরও পড়ুন: অন্ধকার যাত্রায় যেভাবে চিরঅন্ধকারে হারাল টাইটান
টাইটান সাবমার্সিবলের দুর্ঘটনার পর ক্যামেরনকে ওশেনগেটের সমালোচনা করতে দেখা গেছে। তিনি বলেছেন, শীর্ষ প্রকৌশলীরা ওশেনগেটে কোম্পানির কাছে চিঠি লিখে জানিয়েছিলেন তারা যা করছেন সেটির জন্য অনুমোদন প্রয়োজন। তবে কোম্পানিটি এতে কান দেয়নি। ঠিক যেমন টাইটানিকের ক্যাপ্টেনকে বারবার আইসবার্গ সম্পর্কে সতর্ক করা হয়েছিল। এরপরেও তিনি চন্দ্রবিহীন রাতে পুরো গতিতে জাহাজ চালাচ্ছিলেন। ফলে অসংখ্য মানুষের প্রাণহানি হয়।
ক্যামেরন বর্তমানে ‘দ্য ওয়ে অফ ওয়াটার’-এর বক্স অফিস সাফল্যের পরে তৃতীয় পর্বের ‘অ্যাভাটর’ নিয়ে কাজ করছেন। থ্রিক্যুয়েলটি ২০২৫ সালের ১৯ ডিসেম্বর মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে।