হোয়াইট হাউযে কোকেইনে প্রশ্নবিদ্ধ হান্টার বাইডেন!

টিবিএন ডেস্ক

জুলাই ৫ ২০২৩, ২০:১১

হোয়াইট হাউযে ফোর্থ অফ জুলাই উদযাপনে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেন ও তাদের ছোট ছেলে হান্টার বাইডেন। হান্টারের কোলে তার ছেলে বিউ। ছবি: সংগৃহীত

হোয়াইট হাউযে ফোর্থ অফ জুলাই উদযাপনে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেন ও তাদের ছোট ছেলে হান্টার বাইডেন। হান্টারের কোলে তার ছেলে বিউ। ছবি: সংগৃহীত

  • 0

মা-বাবার সঙ্গে ফোর্থ অফ জুলাই উদযাপনে স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে হোয়াইট হাউযে অবস্থান করছিলেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ছেলে হান্টার বাইডেন। এর মধ্যে রাষ্ট্রীয় ভবনটির ওয়েস্ট উইংয়ে পাওয়া যায় পাউডার জাতীয় দ্রব্য। পরে জানা যায়, সেটি কোকেইন।

হান্টার বাইডেনের মাদকাসক্তির খবর পুরোনো। নিজেই কোকেইন আসক্তির কথা স্বীকার করেছেন, এর জেরে জড়িয়েছেন মামলায়।

এবার তার উপস্থিতিকালে হোয়াইট হাউযে কোকেইন পাওয়াার ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা পোস্ট ও মিম ছড়িয়েছে। সেসবে ইঙ্গিত করা হচ্ছে, প্রেসিডেন্টপুত্রের হাত ধরেই রাষ্ট্রীয় ভবনে কোকেইন ঢুকেছে। তীর্যক মন্তব্য থেকে পিছিয়ে নেই রিপাবলিকানরাও।

যদিও এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি বাবা-ছেলের কেউই। হোয়াইট হাউয থেকেও আনুষ্ঠানিক কোনো বিবৃতি আসেনি।

হোয়াইট হাউযের ওয়েস্ট উইংয়ে রোববার রাতে পাউডার জাতীয় দ্রব্য পাওয়া গেলেও ঘটনাটি মঙ্গলবার প্রকাশ করে সিক্রেট সার্ভিস।

গোয়েন্দা সংস্থার মুখপাত্র অ্যান্থনি গুগলিয়েলমি এক বিবৃতিতে জানান, বিষয়টি খতিয়ে দেখতে ডিসি ফায়ার ডিপার্টমেন্টকে ডাকা হয়। তারা জানায় বস্তুটি বিপজ্জনক নয়। সেটি কী ও হোয়াইট হাউযে কীভাবে এল তা নিয়ে তদন্ত চলছে।

সিক্রেট সার্ভিস সূত্রের বরাতে ওয়াশিংটন পোস্ট জানায়, প্রাথমিক তদন্তের পর সেটি কোকেইন বলে শনাক্ত করা হয়েছে।

ঘটনার সময় প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন পরিবারসমেত ক্যাম্প ডেভিডে ছিলেন।

হোয়াইট হাউযে শুক্রবার দেখা যায় হান্টারকে। সঙ্গে ছিলেন তার স্ত্রী মেলিসা বাইডেন ও তিন বছর বয়সী ছেলে বিউ বাইডেন।

সেদিনই পুরো পরিবার ম্যারিল্যান্ডের ক্যাম্প ডেভিডে রওনা হয়। তারা হোয়াইট হাউযে ফিরে ফোর্থ অফ জুলাইয়ের আয়োজনে অংশ নেন মঙ্গলবার। এর মধ্যে রোববার কোকেইন পাওয়া যাওয়ার ঘটনাটি ঘটে।


ট্রাম্পপন্থি রিপাবলিকান রেপ্রেজেন্টিটিভ কিম ব্যাংক্স টুইট করে বলেন, ‘ট্রাম্পের হোয়াইট হাউযে কখনই কোকেইন পাওয়া যায়নি… বাইডেনরা হোয়াইট হাউযে থাকার যোগ্য না।’

টুইটারে এক ইউজার লিখেছেন, ‘হোয়াইট হাউযে কোকেইন পাওয়া গেছে… হান্টার বাইডেন তো এখন হোয়াইট হাউযেই থাকছেন। এফবিআই জানে না, কোকেইনগুলো কার। কেউ তাদের জানান- কোকেইনগুলো কার।’

আরেক টুইট পোস্ট অবশ্য ভিন্ন ইঙ্গিত দিচ্ছে। ম্যাট ওয়ালেস নামের এক আইডি থেকে বলা হয়েছে, কোকেইন হান্টার বাইডেনের নয়।

ওয়ালেস লিখেছেন, ‘আসল ঘটনা আরও বিচ্ছিরি। জো বাইডেনের শীর্ষ স্টাফদের অনেকেই নিয়মিত কোকেইন ও অন্যান্য ভয়াবহ মাদক ব্যবহার করেন। পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের কাজ হচ্ছে সেসব আলামত লুকিয়ে রাখা। এই উইকেন্ডে অবশ্য তা প্রকাশ পেয়েই গেল।’

এসব পোস্টের পাশাপাশি হান্টার ও কোকেইন নিয়ে নানা মিম টুইটারে শেয়ার হতে থাকে। এ কারণে মঙ্গলবার ‘কোকেইন’ ট্রেন্ডিং টপিক হয়ে ওঠে সোশ্যাল প্লাটফর্মটিতে।


৫৩ বছর বয়সী হান্টার বাইডেন এক সময় ছিলেন আইনজীবী। চায়না ও ইউক্রেইনে লবিস্ট হিসেবেও কাজ করেছেন। কোকেইন গ্রহণের প্রমাণ পাওয়ায় ২০১৪ সালে তাকে ইউএস নেভি থেকে বরখাস্ত করা হয়।

২০১৫ সালে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের বড় ছেলে বাও বাইডেনের মৃত্যুর পর থেকে পুরোপুরি মাদকাসক্ত হয়ে পড়েন ছোট ছেলে হান্টার। আসক্তি কমাতে নিজের সঙ্গে যুদ্ধের কথা প্রকাশ্যেই তিনি বলেছেন।

এরপর তার বিরুদ্ধে ২০১৭ ও ২০১৮ সালে ১০০ হাজার ডলার ট্যাক্স শোধ না করার অভিযোগ ওঠে। একইসঙ্গে মাদকাসক্ত থাকা অবস্থায় ২০১৮ সালে আগ্নেয়াস্ত্র কেনার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়। বলা হয়, সে সময় আগ্নেয়াস্ত্র কেনার ফর্মে মাদকে আসক্তি আছে কিনা- এমন তথ্যের ঘরে তিনি ‘নো’ লিখেছিলেন।


0 মন্তব্য

মন্তব্য করুন