ইরানে ইযরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

টিবিএন ডেস্ক

এপ্রিল ১৯ ২০২৪, ৩:০৫

ইযরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষামূলক উড্ডয়ন। ফাইল ছবি

ইযরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষামূলক উড্ডয়ন। ফাইল ছবি

  • 0

ইরানের একটি লক্ষ্যবস্তুতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইযরায়েল। অ্যামেরিকান সংবাদ মাধ্যম সিবিএসের বরাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বিবিসি।

ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন দেশটির ইসফাহান শহরে বিস্ফোরণের খবর দিয়েছে। স্থানীয় সময় শুক্রবার ভোরে এ হামলা চালানো হয়।

ইরানের সংবাদ মাধ্যমগুলো জানাচ্ছে, ভোরে দেশের অন্যতম বড় শহর ইসফাহানে বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া যায়।

রয়টার্স জানিয়েছে, এরপর থেকে, কর্তৃপক্ষ ইসফাহান, শিরাক্স ও তেহরানে সব ধরণের বিমান উড্ডয়ন বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

তবে, কয়েক ঘণ্টা পরই তেহরানের দুটি প্রধান বিমানবন্দরে পুনরায় ফ্লাইট চালু হয়েছে। দেশটির সরকারি বার্তা সংস্থা আইআরএনএ জানিয়েছে, ‘ইমাম খোমেনি ও মেহরাবাদ বিমানবন্দর দিয়ে ফ্লাইট চলাচল শুরু হয়েছে।’

ইসফাহান প্রদেশে ইরানের একাধিক পারমানবিক কেন্দ্র রয়েছে। এরমধ্যে নাতাঞ্জ কেন্দ্রে ইউরেনিয়াম উন্নতকরণের কাজ করা হয়।

ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম আইআরএনএ জানিয়েছে, ইরান একাধিক প্রদেশে তাদের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম কার্যকর করেছে। ইসফাহানের পরমাণু কেন্দ্রগুলো নিরাপদে আছে বলেও জানিয়েছে তারা।

অ্যামেরিকান এক কর্মকর্তা সিএনএনকে জানিয়েছেন, ইযরায়েল এ হামলার বিষয়ে বৃহস্পতিবার অ্যামেরিকাকে অবহিত করে।

ওই কর্মকর্তা সিএনএনকে বলেন, ‘আমরা ইযরায়েলের হামলার সমর্থন দেইনি।’

আরও পড়ুন: ইরানি হামলার জবাব দেয়া হবে: ইযরায়েলের সেনাপ্রধান

আইআরএনএর বরাতে আল জাজিরা জানিয়েছে, সিরিয়ার কয়েকটি সামরিক ঘাঁটিতেও বিস্ফোরণ হয়েছে। আদরা ও আল থালা সামরিক বিমানবন্দর এবং সিরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলের আদরা শহর ও কারফা গ্রামের মাঝামাঝি এলাকায় অবস্থিত একটি রেডার ব্যাটালিয়নের ওপর হামলা করা হয়েছে বলে দাবি আইআরএনএর।

একইসঙ্গে বার্তা সংস্থাটির দাবি ইরাকের বাবেল এলাকার আল ইমাম অঞ্চলেও হামলা হয়েছে।

গত শনিবার রাতে প্রথমবারের মতো সরাসরি ইযরায়েলে হামলা চালায় ইরান। ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানের কনস্যুলেটে ইযরায়েলের বিমান হামলায় কয়েকজন জ্যেষ্ঠ সেনা কর্মকর্তা নিহতের বদলা হিসেবে ওই হামলা চালানো হয়।

বড় ধরনের এই হামলায় তিন শতাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে ইরান। এগুলোর বেশির ভাগই আকাশে ধ্বংস করার দাবি করে ইযরায়েল।

এই হামলা রুখতে ইযরায়েলকে সহায়তা করে অ্যামেরিকা, ইউকে, ফ্রান্স ও জর্ডান।

এরপর থেকে, নেতানিয়াহু বারবার ইরানের অভূতপূর্ব ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন হামলার প্রতিশোধ নেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।


0 মন্তব্য

মন্তব্য করুন