শস্য রফতানির বিষয়ে ইউক্রেইনের সঙ্গে করা চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর নতুন করে আর মেয়াদ না বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে রাশিয়া।
আরও পড়ুন: শস্যচুক্তি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার ঘোষণা রাশিয়ার
এর প্রতিক্রিয়ায় জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, বিশ্বের কয়েক মিলিয়ন মানুষ এরই মধ্যে ক্ষুধায় ধুঁকছে। জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধির কারণে হিমশিম খাচ্ছে। শস্যচুক্তি নিয়ে রাশিয়ার এই সিদ্ধান্তের কারণে আরও মূল্য দিতে হবে এসব মানুষকে।
গুটেরেস বলেন, মস্কোর এই পদক্ষেপ বিশ্বের সব দরিদ্র মানুষকে বিপাকে ফেলবে। নির্বিঘ্নে খাদ্যশস্য রফতানির জন্য শস্যচুক্তি নবায়ন করা হবে- এমন আশা করছিল জাতিসংঘ। চুক্তি নবায়নের জন্য রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে চিঠিও লিখেছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন: খাদ্যশস্য পেতে রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা শিথিলের প্রস্তাব
রাশিয়া-ইউক্রেইনের যুদ্ধ শুরুর পরপরই ইউক্রেইনের খাদ্য শস্য রফতানি প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। এরপর জাতিসংঘ ও তুর্কিয়ের মধ্যস্থতায় গত বছরের জুলাই মাসে রাশিয়া ও ইউক্রেইনের মধ্যে ‘ব্ল্যাক সি শস্যচুক্তি’ নামে চুক্তিটি সই হয়। এরপর আরও কয়েকবার চুক্তিটি নবায়ন করা হয়েছে এবং এর অধীনে ইউক্রেইন প্রায় ৩ কোটি ২০ লাখ টন শস্য ও অন্যান্য খাদ্য সরবরাহ করেছে।
চুক্তিটি নবায়নের শেষ দিন ছিল সোমবার। তবে রাশিয়া এ দিন চুক্তি থেকে বের হয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেয়। ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, ইউক্রেইনের সঙ্গে শস্য চুক্তি থেকে বের হয়ে যাচ্ছে মস্কো।
মস্কো চুক্তির মেয়াদ না বাড়ানোয় হতাশা প্রকাশ করেছে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থাও (ডব্লিউটিও)। সংস্থার প্রধান এক টুইটের মাধ্যমে বলেছেন, ব্ল্যাক সি দিয়ে খাদ্যশস্য, পশুখাদ্য ও সার বাণিজ্য বিশ্বব্যাপী খাবারের দাম স্থিতিশীল রাখার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। দুঃখের সঙ্গে বলতে হচ্ছে, চুক্তি নবায়ন না করায় গরিব মানুষ ও গরিব দেশগুলো সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়বে।