মিলার বলেন, কিনের সঙ্গে এক ফোনকলে ব্লিনকেন অ্যামেরিকা-চায়নার সংঘাত এড়াতে দুদেশের মধ্যে যোগাযোগ স্বাভাবিক করার ওপর আলোকপাত করেছেন। কথা বলেছেন দ্বিপাক্ষিক ও বৈশ্বিক নানান বিষয়ে। সেইসঙ্গে অ্যামেরিকার সঙ্গে চায়নার কূটনৈতিক সম্পর্ক দৃঢ় করা এবং পারস্পরিক সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছেন।
অন্যদিকে, চায়নার অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ বন্ধ করতে ব্লিনকেনকে আহ্বান জানিয়েছেন কিন। সেইসঙ্গে প্রতিযোগিতার নামে চায়নার সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা ও উন্নয়ন স্বার্থকে ক্ষুণ্ন বন্ধ করতে অনুরোধ করেছেন। এছাড়া চায়নার উদ্বেগ, বিশেষ করে তাইওয়ান ইস্যু নিয়ে অ্যামেরিকার চায়নাকে সমর্থন দেয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
কিন জানান, অ্যামেরিকা চাইলে এখনও চায়নার সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে পারে। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক স্থিতিশীল করতে যোগাযোগ ও সহযোগিতা অব্যাহত রাখতে পারে।
তবে ব্লিনকেনের চায়না সফর নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি ইউএস ডিপার্টমেন্ট কিংবা চায়নার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এর আগে অ্যান্টোনি ব্লিনকেন আগামী সপ্তাহের ১৮ জুন চায়না সফরের পরিকল্পনা করছেন বলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে অ্যামেরিকান কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন। চায়না প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-এর সঙ্গেও সাক্ষাৎ করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সফরটি হওয়ার কথা ছিল গত ফেব্রুয়ারিতে। বালিতে এক বৈঠকে শি ও বাইডেন এতে সম্মতি দিয়েছিলেন। তবে ফেব্রুয়ারিতে অ্যামেরিকার আকাশে চায়নার একটি নজরদারি বেলুন গুলি করে ভূপতিত করার পর দেশটির সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হতে থাকে। এমন প্রেক্ষাপটে চায়নার সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে উদগ্রীব হয়ে আছে বাইডেন প্রশাসন।
চায়না অবশ্য জোর দিয়ে বলেছিল, বেলুনটি নজরদারির জন্য নয়, সেটি ছিল আবহাওয়া পূর্বাভাস দেয়া একটি বেলুন। ওই ঘটনার পর অ্যামেরিকা ও চায়নার মধ্যে স্বল্প পরিসরে যোগাযোগ রয়েছে। এর সঙ্গে সাউথ চায়না সাগরে চায়নার কর্মকাণ্ড, তাইওয়ানের প্রতি বিদ্বেষমূলক পদক্ষেপ এবং ইউক্রেইনের বিরুদ্ধে রাশিয়াকে সমর্থন নিয়ে বেড়েছে উত্তেজনা।
চায়নার প্রতিরক্ষামন্ত্রী গত সপ্তাহে সিঙ্গাপুরে একটি নিরাপত্তা সিম্পোজিয়ামের সাইডলাইনে বৈঠকের জন্য ইউএস ডিফেন্স সেক্রেটারি লয়েড অস্টিনের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেন।