রিপোর্ট বলছে, এই সংকটের কারণ হিসেবে ম্যানুফ্যাকচারিং স্ন্যাগ ও অন্যান্য সাপ্লাই চেইনে ব্যাঘাত, চাহিদা বৃদ্ধি এবং চিকিৎসকদের অতিরিক্ত ওষুধ দেয়ার প্রবণতার মতো কয়েকটি বিষয় শনাক্ত করা হয়েছে।
মূল সংকট দেখা দিয়েছে জেনেরিক নামের ওষুধে। বাজারের ৯০ শতাংশ ওষুধই জেনেরিক নামের। ব্র্যান্ডের ওষুধের চেয়ে দাম কম হওয়ার এর চাহিদাও বেশি।
সরবরাহ কমে যাওয়া ওষুধগুলোর মধ্যে রয়েছে শিশুদের টায়েনল থেকে শুরু করে কেমোথেরাপির ওষুধ এমনকি মেডিক্যাল বিভিন্ন স্ক্যানে ব্যবহার হওয়া কন্ট্রাস্ট ডাইও।
ক্যানসার সার্জন ও ইউনিভার্সিটি অফ মিশিগান মেডিক্যাল স্কুলের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর অ্যান্ড্রু সুম্যান বলেন, ‘কোভিডের সময় চায়নায় একটি কারখানা বন্ধ হয়ে যায়। তখন রাতারাতি এই কন্ট্রাস্ট ডাইয়ের সরবরাহ অর্ধেক কমে যায়। এর প্রভাবে এখন দেশের অর্ধেক হাসপাতালে বেসিক রেডিওলজি টেস্ট করার মতো প্রয়োজনীয় ডাই নেই।’
নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদন বলছে, হাসপাতালগুলো এখন লেড পয়জনিং ও বাইপাস সার্জারিতে প্রয়োজনীয় ওষুধ ও জীবাণুমুক্তকরণ তরল তন্ন তন্ন করে খুঁজছে। শীতে ফ্লু মৌসুমের জন্য প্রয়োজনীয় কিছু অ্যান্টিবায়োটিকও এখন দুষ্প্রাপ্য। পাওয়া যাচ্ছে না স্ট্রেপ থ্রোটের মতো মলমও।
অ্যামেরিকান ক্যানসার সোসাইটি কিছুদিন আগে সতর্ক করে জানিয়েছে, ক্যানসার চিকিৎসার ওষুধের সংকট অনেক রোগীর ঝুঁকি বাড়াচ্ছে।
এই সংকট এতোটাই তীব্র যে, কংগ্রেস ও হোয়াইট হাউযের নজরেও তা এসেছে।
সেনেটে গত মার্চে ওষুধ সংকট সংক্রান্ত এক শুনানিতে সাক্ষ্য দিয়েছিলেন সুম্যান। তিনি জানান, এই সংকট মোকাবিলায় কোম্পানিগুলোকে প্রণোদনা দিয়ে কিছুটা কম লাভের ওষুধ উৎপাদনে উৎসাহিত করা যেতে পারে। পাশাপাশি এফডিআইকে এই সংকটের ধরন খতিয়ে দেখার সুযোগ দিতে হবে।
জন হপকিংস স্কুল অফ মেডিসিনের প্রফেসর অ্যামেন্ডা ফ্যাডের বলেন, ‘আমার মনে হয় এটা পাবলিক হেলথ ইমার্জেন্সি… কারণ বিশাল সংখ্যক মানুষের ওপর এই সংকটের প্রভাব পড়ছে।’
অ্যামেরিকা এখনও ওষুধের সরবরাহের জন্য ভারত ও চীনের ওপর অতিমাত্রায় নির্ভরশীল। এই সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন রাখার দীর্ঘমেয়াদী সমাধান খুঁজতে একটি কমিটি গঠন করেছে হোয়াইট হাউয। আর এই সংকটের কারণও খতিয়ে দেখছে বাইডেন প্রশাসন।