সবুজ সবজি, রঙিন ফল, বাদাম আর বীজের মিশ্রণে তৈরি এক প্লেট সালাদ শুধু স্বাস্থ্যই না, মনও ভালো করে দেয়।
প্রাচীন গ্রিসে জনপ্রিয় হওয়া সালাদ এখন সারা বিশ্বে স্বাস্থ্য সচেতনদের প্রিয় খাবার।
চুলায় রান্না, ভাঁপ দিয়ে কিংবা পুড়িয়ে তৈরি করা হয় ঐতিহ্যবাহী ও আধুনিক সালাদের পদ।
এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে জানা যায়, একটানা ৩০ দিন কাঁচা সালাদ খেলে পেতে পারেন চমকপ্রদ পাঁচটি ফলাফল।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
কাঁচা সালাদকে বলা হয় পুষ্টির অন্যতম ভান্ডার। কারণ এতে প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও মিনারেলের পরিমাণ উল্লেখযোগ্য মাত্রায় বেশি থাকে।
ন্যাশনাল লাইব্রেরি অব মেডিসিনের প্রকাশিত এক গবেষণা থেকে জানা যায়, যারা সালাদ খান না তাদের তুলনায় নিয়মিত কাঁচা সালাদ খাওয়া ব্যক্তিদের রক্তে ভিটামিন সি, ই, ফোলেট প্রভৃতি উপাদান বেশি থাকে, যাা তাদের হৃৎপিণ্ড ভালো রাখতে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ও দীর্ঘস্থায়ী রোগ মোকাবিলা করতে সাহায্য করে।
আঁশের চাহিদা পূরণ
সুস্থ থাকতে প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির খাবারে প্রতিদিন ২৫ থেকে ৩৮ গ্রাম আঁশ গ্রহণ করা প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে নিয়মিত এক বেলা কাঁচা সালাদ খেলে পূরণ হয়ে যায় ৭ থেকে ১০ গ্রাম আঁশের চাহিদা, যা ত্বক ভালো রাখতে ও পরিপাকতন্ত্র সচল রাখতে সাহায্য করে।
শরীরে অধিকতর পুষ্টি শোষণ
কাঁচা সবজি ও ফলের সঙ্গে জলপাইয়ের তেল, বাদাম কিংবা অ্যাভাকাডো মিশিয়ে নিন। এগুলো সালাদে স্বাস্থ্যকর চর্বির জোগান দেয়। পাশাপাশি সালাদে থাকা পুষ্টি ভালোভাবে শোষণে শরীরকে সাহায্য করে।
অতিরিক্ত ওজন নিয়ন্ত্রণ
ওজন নিয়ন্ত্রণে সালাদের জুড়ি নেই। এতে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখতে পারে কাঁচা সালাদ। কারণ এ প্রক্রিয়ায় তৈরি সালাদে ক্যালোরির পরিমাণ থাকে সবচেয়ে কম।
অন্যদিকে পুষ্টির পরিমাণ বেশি থাকায় ডায়েটে থাকা ব্যক্তিদের দীর্ঘক্ষণ না খেয়ে শক্তি ধরে রাখতে সাহায্য করে কাঁচা সালাদ।
বিষণ্ণতা দূর করে
মন ভালো রাখতে কাঁচা সালাদ হতে পারে প্রতিদিনের বন্ধু। এ ধরনের সালাদে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও ফাইটোক্যামিকেলস প্রদাহ কমায় ও মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভালো রেখে মন প্রফুল্ল রাখে।
ইউএসডিএর পরীক্ষিত এক গবেষণায় বলা হয়, অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে যারা নিয়ম মেনে প্রতিদিন এক বাটি কাঁচা সালাদ খেয়েছেন, তারা অন্যদের তুলনায় বেশি হাসিখুশি ছিলেন।