দুশ্চিন্তা বা উদ্বেগ যেকোনো ব্যক্তির জন্য দীর্ঘমেয়াদে জটিল স্বাস্থ্যগত সমস্যা তৈরি করতে পারে। ব্যতিক্রম নন ডায়াবেটিস রোগীরাও। এ সমস্যাটি কীভাবে তাদের বিপদ আরও বাড়াতে পারে, তা টিবিএনকে জানিয়েছেন নিউ ইয়র্কভিত্তিক ইন্টার্নিস্ট ডা. তৌহিদ শিবলী।
তিনি টিবিএন ওয়েলনেসের উপস্থাপক ডা. সজল আশফাকের এ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন, ‘একটা মানুষ যখন অ্যাংজাইটিতে (দুশ্চিন্তা) আছে, ওর ঘুম হচ্ছে না। সবসময় অস্থির আছে। হার্ট পাম্প করছে টু মাচ। ঘুম না হলে কী হচ্ছে? ঘুম থেকে দেরিতে উঠছে। দেরিতে উঠলে সকালে ঘুম থেকে ওঠার পরে ওর খেতে ইচ্ছা করছে না কিংবা কিছু একটা খেতে ইচ্ছা করছে, যে খাবারটা ডায়াবেটিসের জন্য ভালো না।
‘ও হয়তো কার্বোহাইড্রেট রিচ (শর্করা সমৃদ্ধ খাবার) খেয়ে ফেলল। তাতে কী হচ্ছে? ডায়াবেটিস আনকন্ট্রোলড (অনিয়ন্ত্রিত) হয়ে যাচ্ছে। ছিল অ্যাংজাইটি। এখন ডায়াবেটিসও আনকন্ট্রোলড চলে যাচ্ছে। ও বুঝতে পারছে না কী হচ্ছে।’
দুশ্চিন্তাগ্রস্ত ডায়াবেটিস রোগী তাদের দৈনন্দিন কর্মকাণ্ড করেন না জানিয়ে এ চিকিৎসক বলেন, ‘রেগুলার যে অ্যাকটিভিটিজগুলা আছে, ঠিকমতো চলাফেরা করা, এক্সারসাইজ করা, একটু হাঁটা-চলাফেরা করা, বাসার ভেতরে ছোটখাটো কিছু করা, এগুলো করছে না। না করলে সুগার বেড়ে যাচ্ছে।
‘সুগার বেড়ে গেলে তখন দেখা যাচ্ছে যে, মেডিসিন ঠিকমতো খাচ্ছে, কিন্তু দেখা যাচ্ছে যে, আমরা যখন ব্লাড টেস্ট করি, ব্লাড সুগার লেভেল হাই হয়ে গেছে; এওয়ানসি হাই হয়ে গেছে অর (অথবা) চোখের ডাক্তারের কাছে যাওয়ার কথা ছিল, চোখের ব্যথা অনুভব করছে, বলছে আমার ভালো লাগছে না, আমি যাব না।’
রোগীর পরিস্থিতি নিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘হার্টে ব্যথা আছে। আমি রিকমন্ড করেছি যে, কার্ডিওলজিস্টের সাথে দেখা করতে। বলছে যে, আমার কার্ডিওলজিস্টের কাছে যেতে ইচ্ছা করছে না। সবকিছু থেকে নিজেকে গুটায়ে নিতে চাচ্ছে। এতে কী হচ্ছে? যে সমস্যাগুলা আমরা সচরাচর চিকিৎসা করছি, খারাপ দিকে চলে যাচ্ছে।’