
ভুল ডায়েটের ফলে হতে পারে স্ট্রোক

টিবিএন ডেস্ক
প্রকাশিত: নভেম্বর ৮ ২০২৫, ১১:৩৭

পরামর্শ ছাড়া ডায়েট হতে পারে বিপজ্জনক। ছবি: টিবিএন কোলাজ
- 0
ডায়েট শরীরে পুষ্টির ঘাটতি তৈরি করে রক্তপ্রবাহে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে, যা শেষ পর্যন্ত স্ট্রোকের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
ওজন কমাতে অনেকে কঠোর ডায়েট অনুসরণ করেন। তবে পরামর্শ ছাড়া ডায়েট হতে পারে বিপজ্জনক। পুষ্টিবিদদের মতে, দীর্ঘদিন ভুলভাবে ডায়েট করলে রক্তচাপ ও কোলেস্টেরল বেড়ে স্ট্রোকের আশঙ্কা তৈরি হয়। অনেক সময় ভুল খাদ্যাভ্যাস শরীরের ভারসাম্য নষ্ট করে দেয়, বাড়ায় হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি।
চিকিৎসক ও পুষ্টিবিদদের অনেকেরই মতে, প্রক্রিয়াজাত ও প্যাকেট করা খাবার আমাদের স্বাস্থ্যের ওপর ধীরে ধীরে অত্যন্ত খারাপ প্রভাব ফেলে । অনেক সময় নিয়মিত কিছু ভুল খাদ্যাভ্যাস স্ট্রোকের কারণ হতে পারে। শরীরের প্রয়োজন ওমেগা-৩, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ম্যাগনেসিয়াম এবং পটাশিয়ামের মতো উপাদান। ডায়েটে এসব উপাদান অনুপস্থিত থাকলে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যায় এবং হৃদরোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়।
ডোবা তেলে ভাজা খাবার, প্রক্রিয়াজাত মাংস এবং বেকারি আইটেমগুলোতে থাকা ট্রান্স ফ্যাট এলডিএল বাড়ায়। এর ফলে ধমনীতে ব্লকেজ হতে পারে। এছাড়াও মিষ্টি পানীয়, সাদা রুটি এবং পেস্ট্রির মতো খাবারগুলো ইনসুলিন প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং ধমনীতে ব্লকেজ তৈরি করে। প্যাক করা স্ন্যাকস, আচার এবং সসেজে থাকা সোডিয়ামও রক্তচাপ বাড়ায়, যা স্ট্রোকের সবচেয়ে সাধারণ কারণ হিসেবে বিবেচিত হয়।
পুষ্টিবিদদের মতে, স্ট্রোক থেকে বাঁচতে পরিমিত পরিমাণে লবণ খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। এছাড়াও, সোডিয়ামের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে ডায়েটে নারকেল পানি, ডাল এবং পালং শাকের মতো খাবার অন্তর্ভুক্ত করার কথা বলা হয়।
ডায়েটে তেলের ব্যবহার যতটা কম করা যায়, ততই ভাল। বরং ডায়েটে উপকারী ফ্যাট থাকাই ভালো। প্রতিদিন দুটি আখরোট, সামান্য ফ্ল্যাক্সসিড এবং চিয়া বীজ খাওয়া শরীর ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের জোগান দেয়।
এছাড়াও স্ট্রোক এড়াতে বিশেষজ্ঞরা অ্যালকোহল সেবন সীমিত করার পরামর্শ দেন এবং বেশি পানি খাওয়ার জন্য বলেন। যাতে শরীরে টক্সিন জমা না হয় এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে।
স্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে স্ট্রোকের ঝুঁকি কমানো যেতে পারে। এর জন্য প্রতিদিনের খাবারে ফল, সবজি, বীজ এবং শুকনো ফল অন্তর্ভুক্ত করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যাতে হৃদপিণ্ড এবং মস্তিষ্ক উভয়ই সুস্থ থাকে।
এছাড়াও, চিকিৎসকরা পরামর্শ দেন যে বেশি খাওয়া উচিত নয়। বারে বারে একটু একটু করে খাওয়া উচিত। অতিরিক্ত খাবারের ফলে শরীরে চাপ বাড়তে পারে যা হৃদরোগ এবং মস্তিষ্কের জন্য ক্ষতিকর।