ভিএলএওয়ান-ফাইভ-ফাইভ-থ্রি নামের ভ্যাকসিনটির কার্যকারিতার প্রমাণ মিলেছে।
দ্য ল্যানসেট জার্নালে মঙ্গলবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চিকুনগুনিয়ার ভ্যাকসিনের প্রথম পর্যায়ের তৃতীয় পরীক্ষায় একটি একক নিরাপদ ডোজ পাওয়া গেছে।
গবেষণায় দেখা গেছে, রোগটির বিরুদ্ধে ভ্যাকসিনটি শক্তিশালী রোগ প্রতিরোধী প্রতিক্রিয়া তৈরি করতে পেরেছে। তবে এর কার্যকারিতা সম্পর্কে পুরোপুরি নিশ্চিত হতে আরও গবেষণা প্রয়োজন।
চিকুনগুনিয়া রোগের কারণ সিএইআইকেভি ভাইরাসের সংক্রমণ। মশাবাহিত এই রোগের প্রাদুর্ভাব রয়েছে আফ্রিকা, এশিয়া ও আমেরিকার কিছু অঞ্চলে। ভাইরাসের বাহক মশা কামড়ানোর চার থেকে আট দিন পর রোগীর জ্বর শুরু হয়। এর লক্ষণের মধ্যে আছে মাথাব্যথা, ক্লান্তি, বমি ভাব, পেশী ও জয়েন্টে তীব্র ব্যথা।
আক্রান্তদের দুর্বলতা দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে। এমনকি এর স্থায়িত্ব বছরব্যাপীও হতে পারে। বয়স্ক ও শিশুরা সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঝুঁকিতে থাকে। তবে এটি কোন মারণঘাতি রোগ নয়।
দ্য ল্যানসেট জার্নালে প্রকাশিত সমীক্ষা অনুসারে, ২৬৬ জনের দেহে ভ্যাকসিনটি দেয়ার পর ২৬৩ জন অর্থাৎ ৯৯ শতাংশের অ্যান্টিবডি তৈরির প্রমাণ পাওয়া গেছে।
এখন পর্যন্ত চিকুনগুনিয়ার কোনো অনুমোদিত ভ্যাকসিন বা কার্যকর কোনো অ্যান্টিভাইরাল চিকিৎসা নেই। সবকিছু ঠিক থাকলে ভিএলএওয়ান-ফাইভ-ফাইভ-থ্রি হবে চিকুনগুনিয়ার প্রথম ভ্যাকসিন।