সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বিশ্ব জুড়ে বাড়ছে কোলন ক্যানসারের প্রকোপ৷ এই রোগের লক্ষণ দেখা দিচ্ছে যে কোনও বয়সেই৷ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোলন ক্যানসারে আক্রান্তের হার বেড়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে একাধিক কারণের সঙ্গে দায়ী অস্বাস্থ্যকর লাইফস্টাইল৷
অনেক সময়েই এই রোগের সূত্রপাতে কোনো লক্ষণ বা উপসর্গ থাকে না। তাই অনেকেই বুঝতে পারেন না কোলন ক্যানসারের লক্ষণ দেখা দিয়েছে৷ ফলে চিকিৎসা শুরু হতে দেরি হলে সমস্যা ও জটিলতা বেড়ে যায়৷
আর তাই মলত্যাগের সময় রক্তপাত, ক্রমাগত ডায়রিয়া বা কোষ্ঠকাঠিন্য, পেটে ব্যথা, আচমকা ওজন কমে যাওয়া, অ্যানিমিয়া থেকে ক্লান্তির মতো লক্ষণ অবহেলা করবেন না একদমই।
যে কোন বয়সী ব্যক্তি এই রোগে আক্রান্ত হতে পারেন। তবে ৫ ধরনের ব্যক্তিরে ক্ষেত্রে এই রোগের ঝুঁকি অনেক বেশি৷
বয়স বেশি হওয়া এই রোগের বড় ঝুঁকি হয়ে দাঁড়ায়৷ বেশি বয়সে এই ক্যানসার হওয়ার আশঙ্কা বেশি৷ বিশেষ করে ৫০ থেকে ৫৫ বছর বয়সী ব্যক্তিরা সতর্ক থাকুন৷ নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করুন।
এছাড়া অল্প বয়সীদের মধ্যেও দেখা দিচ্ছে কোলন ক্যানসার৷ বিশেষজ্ঞদের মত, নানা কারণে ৫০ বছর বয়সের কমেও বাড়তে পারে এই রোগের ঝুঁকি৷ মূলত অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপনই এর জন্য দায়ী৷
পরিবারে কোলন ক্যানসারের ইতিহাস বা ধারা থাকলে ঝুঁকি বেশি হয়৷ তাই পরিবারে এর আগে কোলন ক্যানসার বা অন্য ক্যানসার হলে সচেতন হোন৷ নিয়মিত চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ রাখুন।
যাদের ডায়েটে প্রক্রিয়াজাত মাংস বা প্রক্রিয়াজাত অন্য খাবারের পরিমাণ বেশি এবং ফাইবারের অংশ কম, তারাও কোলন ক্যানসারে আক্রান্ত হতে পারেন৷
মদ্যপান, ধূমপানের মতো বিপজ্জনক নেশা থাকলেও কোলন ক্যানসার হতে পারে৷ যারা শরীরচর্চা না করে অধিকাংশ সময়ে বসে বসে কাজ করেন, তাদেরও এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেশি।
কোলাইটিস, আলসারের মতো সমস্যা থাকলেও কোলন ক্যানসার হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে৷
তাই সচেতন হোন এবং কোন একটি লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন। এছাড়া স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন, খ্যাদাভ্যাস পরিবর্তন ও নিয়মিত শরীর চর্চা করার চেষ্টা করুন।