সাধারণত ওজন মাপার মেশিনে দেখানো সংখ্যা বা আমাদের পোশাক ঢিলা হলেই ধরে নেই ওজন কমছে। তবে অনেক সময় আমাদের দেহের ফ্যাট কমার খুব সূক্ষ্ম বা অদ্ভুত কিছু লক্ষণেও প্রকাশ পায়।
স্পষ্ট শারীরিক পরিবর্তনের বাইরে—আরও কিছু সংকেত আছে, যেগুলো প্রথমে ওজন কমার সাথে সম্পর্কহীন মনে হলেও আসলে এগুলোই বলে দেয় যে শরীরের চর্বি ঝরছে।
মেদ কমে যাওয়ার ১০টি লক্ষণ
১. হঠাৎ স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি প্রস্রাব পাচ্ছে
শরীর যখন চর্বি ভাঙে, তখন তার একটি অংশ পানি হিসেবে বের হয়ে যায়। তাই প্রথমে শরীর থেকে পানি কমতে থাকে, আর আপনি আগের চেয়ে বেশি বার প্রস্রাব করতে পারেন। এটা ফ্যাট কমার একটি সাধারণ লক্ষণ।
২. আগের তুলনায় বেশি ঠান্ডা লাগছে
চর্বি ভাঙার সময় শরীর অনেক এনার্জি ও তাপ ব্যবহার করে। তাই মেটাবলিজম বাড়লে শরীর কিছুটা ঠান্ডা অনুভব করতে পারে।
৩. ঘামের গন্ধ একটু আলাদা লাগছে
ফ্যাট কমার সময় শরীর জমে থাকা কিছু টক্সিন বাইরে বের করে। এ কারণে ঘামের গন্ধ আগের চেয়ে একটু ভিন্ন লাগতে পারে।
৪. ক্ষুধার্ত অবস্থায় ঘুম থেকে উঠলেও ক্লান্ত লাগে না
সকালে ক্ষুধা লাগা মানে আপনার মেটাবলিজম সক্রিয় রয়েছে এবং রাতে শরীর চর্বি ঝরিয়েছে।
৫. ওজন না কমলেও পোশাক ঢিলা লাগছে
স্কেলে পরিবর্তন না দেখা গেলেও পোশাক, বিশেষ করে পেটের অংশ ঢিলা হতে শুরু করে। এটা ফ্যাট কমার পরিষ্কার লক্ষণ।
৬. হঠাৎ করেই ঢেকুর ওঠা বা গ্যাসের সমস্যা হচ্ছে
চর্বি কমার সময় হজমশক্তি দ্রুত কাজ করে এবং খাবার দ্রুত ভাঙে। তাই মাঝে মাঝে ঢেকুর বা গ্যাস হতে পারে।
৭. এনার্জি বা দেশের শক্তি অনেক বেড়ে যাওয়া
ওয়ার্কআউট একই থাকলেও সারাদিনে বেশি সতেজ ও শক্তিশালী লাগতে পারে। কারণ শরীর এখন চর্বিকে জ্বালানি হিসেবে কার্যকরভাবে ব্যবহার করছে।
৮. বারবার পানি খেতে ইচ্ছে করছে
ফ্যাট ভাঙতে শরীরের পানি দরকার হয়। তাই এই সময় তৃষ্ণা একটু বেড়ে যায়।
৯. ত্বক আগের তুলনায় মসৃণ হয়ে উঠছে
চর্বি কমলে শরীরের ইনফ্লেমেশন বা প্রদাহ কমে যায়। ফলে ত্বক দেখা যায় আরও পরিষ্কার ও উজ্জ্বল।
১০. কোমরের মাপ কমছে, যদিও নিতম্বে তেমন কমছে না
চর্বি সব জায়গায় সমানভাবে কমে না। যখন শরীরের কোনো অংশ বিশেষ করে কোমর কমতে শুরু করে, তখন বুঝবেন শরীর অবশ্যই চর্বি ঝরাচ্ছে।