চায়নার হাংচৌ-এর একদল গবেষকের নিবন্ধটি সোমবার প্রকাশিত হয় পিএনএএস জার্নালে। এতে বলা হয়েছে, ফ্রাইড ফুড বিশেষ করে ফ্রেঞ্চ ফ্রাই নিয়মিত খাওয়া ব্যক্তিদের মানসিক উদ্বেগে ভোগার ঝুঁকি অন্যদের তুলনায় ১২ শতাংশ বেশি। অন্যদিকে তাদের বিষণ্নতার ঝুঁকি বেশি সাত শতাংশ।
স্থুলতা, উচ্চ রক্তচাপসহ আরও বেশ কিছু শারীরিক জটিলতার সঙ্গে ফ্রায়েড ফুডের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের তথ্য এর আগে বিভিন্ন গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে। এবার মানসিক স্বাস্থ্যের ওপরেও এসব খাবারের সম্ভাব্য নেতিবাচক প্রভাবের কথা জানালেন গবেষকেরা।
গবেষণাটি ১১ বছর তিন মাস ধরে ১৪০,৭২৮ জনের উপরে পরিচালিত হয়। প্রথম দুই বছরের মধ্যে বিষণ্নতা ধরা পড়া অংশগ্রহণকারীদের বাদ দেয়ার পর ফ্রায়েড ফুড গ্রহণকারীদের মধ্যে মোট ৮,২৯৪ জনের মানসিক উদ্বেগে ভোগার তথ্য মিলেছে। আর বিষণ্নতায় আক্রান্ত হয়েছেন ১২,৭৩৫ জন। গবেষণায় দেখা গেছে, চিকেন ফ্রাইয়ের চেয়ে ফ্রেঞ্চ ফ্রাই গ্রহণের ক্ষেত্রে বিষণ্নতার ঝুঁকি দুই শতাংশ বৃদ্ধি পায়।
এই গবেষণার ফলকে উদ্বেগজনক হিসেবে স্বীকার করলেও পুষ্টি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গবেষণাটি প্রাথমিক পর্যায়ের। ফ্রায়েড ফুড মানুষকে হতাশা ও উদ্বেগের দিকে পরিচালিত করে, নাকি হতাশা-উদ্বেগ থেকে মানুষ এ ধরনের খাবারের প্রতি বেশি ঝোঁক অনুভব করে গবেষণাটিতে পরিষ্কার নয়।
লাইফস্টাইল মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডক্টর ডেভিড কাটয বলেন, ‘এই গবেষণায় ইঙ্গিতটি পরিষ্কার, আর সেটি হলো, বেশি পরিমাণে ফ্রায়েড ফুড গ্রহণ উদ্বেগ/বিষণ্নতার ঝুঁকি বাড়ায়। তবে কার্যকারণটি সহজেই অন্য দিকে যেতে পারে। এমনও হতে পারে উদ্বেগ/বিষণ্নতায় আক্রান্ত ব্যক্তিরা কিছু স্বস্তি পেতে স্বাচ্ছন্দ্যের খাবারের দিকে ঝুঁকছেন।’
এর আগে আরেক গবেষণায় দেখা যায়, অস্বাস্থ্যকর খাবার এবং দুর্বল পুষ্টিমান মানুষকে মেজাজি করে তোলে এবং মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটায়।