রাইসির প্রতিকৃতি হাতে নিয়ে হাজারো মানুষ নগরীর কেন্দ্রস্থলে এবং তেহরান বিশ্ববিদ্যালয় ও এর আশপাশে জড়ো হন। সেখানে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি নিহত রাইসি এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসাইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ানসহ তার সঙ্গীদের জন্য জানাজায় নেতৃত্ব দেন।
রাইসির হেলিকপ্টারটি আজারবাইজানের সঙ্গে লাগোয়া সীমান্তে একটি বাঁধ প্রকল্পের উদ্বোধনে অংশ নেয়ার পর তাবরিজ শহরে যাওয়ার পথে ইরানের উত্তরাঞ্চলে একটি কুয়াশাচ্ছন্ন পাহাড়ে বিধ্বস্ত হয়।
তুর্কিয়ে, রাশিয়া ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সহায়তায় সেখানে ব্যাপক অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান চালিয়ে তাদের খুঁজে বের করা হয়। ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন সোমবার ভোরে রাইসির মৃত্যুর ঘোষণা দেয়।
মৃত্যুর সময় রাইসির বয়স হয়েছিল ৬৩ বছর। তিনি সর্বোচ্চ নেতা হিসেবে খামেনির স্থলাভিষিক্ত হবেন বলে ব্যাপকভাবে ধারণা করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: টর্নেডোর আঘাতে লণ্ডভণ্ড আইওয়া
রাজধানীতে প্রয়াত এই প্রেসিডেন্টকে ‘সেবার শহিদ’ হিসেবে সম্বোধন করে বিশাল ব্যানার প্রদর্শন করতে দেখা যায়। অপরদিকে রাইসির বিরোধিরা ‘সুবিধাবঞ্চিতদের সেবককে বিদায়’ লিখে ব্যানার উড়াচ্ছে।
তেহরানের বাসিন্দারা তাদের ‘সেবার শহীদের জানাজায় যোগদান’ করার আহ্বান জানিয়ে মুঠো ফোনে বার্তা পেয়েছেন।
ইরানের রাষ্ট্রীয় মিডিয়া পরিবেশিত খবরে বলা হয়, শোক মিছিল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যাত্রা শুরু করে শহরের কেন্দ্রস্থলে সুবিশাল ইঙ্গেলাব স্কোয়ারে গিয়েছে। এতে বিদেশি বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ অংশগ্রহণ করেছেন।
প্রেসিডেন্টের শেষকৃত্য অনুষ্ঠান চলবে তিন দিন ধরে। যার প্রথম ভাগ মঙ্গলবার শুরু হয়েছে তাবরিজ শহর থেকে। বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্ট রাইসিকে নিজের শহর মাশাদে সমাহিত করা হবে।
