টিবিএন ওয়েলনেস
আপনার উচ্চ রক্তচাপ বুঝবেন কখন?

টিবিএন ডেস্ক

প্রকাশিত: জুলাই ২২ ২০২৫, ০:৩৪ হালনাগাদ: ডিসেম্বর ৭ ২০২৫, ২২:৩৭

রক্তচাপ পরীক্ষা। ছবি: প্রাইভেট মেডিক্যাল ক্লিনিক

রক্তচাপ পরীক্ষা। ছবি: প্রাইভেট মেডিক্যাল ক্লিনিক

  • 0

একজন মানুষ কখন তার উচ্চ রক্তচাপের বিষয়টি বুঝতে পারবেন, সে বিষয়ে টিবিএনের উপস্থাপক ডা. সজল আশফাকের প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন ইনভ্যাসিভ কার্ডিওলজিস্ট ডা. মনজুর মোরশেদ।

উচ্চ রক্তচাপ বিশ্বজুড়েই আলোচিত একটি স্বাস্থ্যগত সমস্যা। এ থেকে জটিল রোগ সৃষ্টি হতে পারে, যা হতে পারে মৃত্যুর কারণ।

একজন মানুষ কখন তার উচ্চ রক্তচাপের বিষয়টি বুঝতে পারবেন, সে বিষয়ে টিবিএন ওয়েলনেসের সঞ্চালক ডা. সজল আশফাকের প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন ইনভ্যাসিভ কার্ডিওলজিস্ট ডা. মনজুর মোরশেদ।

টিবিএন: কখন আপনি একজন রোগীকে বা একজন সাধারণ মানুষকে বলবেন যে, আপনার উচ্চ রক্তচাপ আছে…আমরা জানি যে, সাধারণ মানে স্বাভাবিক মাত্রার রক্তচাপ হচ্ছে ১২০ বাই ৮০। রাইট? তো এর বেশি যদি পাওয়া যায়, কতদিন ধরে পাওয়া গেলে, মানে কখন একটা মানুষকে আপনি বলবেন যে, হ্যাঁ আপনার উচ্চ রক্তচাপ আছে। এবার কিছু একটা করতে হবে।

মনজুর মোরশেদ: যখন আমাদের কাছে কোনো পেশেন্ট আসে এবং ব্লাড প্রেশারটা কী রকম না কী রকম। প্রথমত পেশেন্ট অলরেডি জানেন যে, উনার কী রকম সিম্পটম হচ্ছে কি না হচ্ছে। যেটি আপনি কিছুক্ষণ আগে বললেন, সিম্পটম হওয়া মানে তার মানে একটা রেড ফ্ল্যাক্স সাইন। যেমন: আপনার ঘাড় ব্যথা বলুন কিংবা মাথাব্যথা বলুন কিংবা আপনার নাক দিয়ে একটু রক্ত বের হচ্ছে বলুন কিংবা চোখটা লাল বর্ণ হয়ে গেছে বা এই ধরনের হ্যাঁ অনেক কিছু বা স্লাগিশ ফিল করছেন; ঘুমটা ঠিকমতো হচ্ছে না।

এই ধরনের অনেক সিম্পটম হতে পারে…যাদের সিম্পটম হয় না, ডাক্তারের কাছে গেলেন। কোনো না কোনো কারণে দেখলেন যে ব্লাড প্রেসারটা আপনার হাই। হাই বলতে কী বোঝাচ্ছি? ধরুন ১৪০ ওভার নাইনটি। নাইনটিটা হচ্ছে যে ডায়াস্টলিক আর উপরেরটা হচ্ছে সিস্টলিক ব্লাড প্রেশার।

এই নাম্বারটা যখন দেখি, তখন একটু আমাদের মধ্যে কোশ্চেন মার্ক থাকতে হবে যে, এটি কি অ্যাকচুয়াল ব্লাড প্রেশার ব্রিডিং কি না। কেন বলছি সেটা? যেমন: আপনি যখন ডাক্তার সাহেবের চেম্বারে যাবেন, আপনি একটা স্ট্রেসফুল সিচুয়েশনে থাকেন হয়তো। আপনি খুব তাড়াহুড়া করে এসেছেন হয়তো। আপনি হোয়াইট কোড দেখে কিংবা ডাক্তারের শরণাপন্ন হবেন কি না, সেটার জন্য একটা স্ট্রেসে আছেন। সেটার জন্য আপনার ব্লাড প্রেশারটা বাড়তে পারে।

তো এই জন্য যখন ডাক্তারের কাছে যাবেন, তখন উচিত যে অন্তত ফাইভ টু টেন মিনিটস একটু ওয়েটিং রুমে বসে রিলাক্স থাকুন যাতে কোন অবস্থাতে আপনার অন্য কোনো ধরনের স্ট্রেস না থাকে। এরপরে অবশ্যই জানতে হবে যে ব্লাড প্রেশারটা মাপার আগেই আপনি কোনো ক্যাফেইন খেয়েছেন কি না, ড্রিংক করেছেন কি না, স্মোকিং করেছেন কি না। তারপর আপনার ভরা পেটে আছেন কি না।

এই ধরনের কিছু ফ্যাক্টর ইনভলভ থাকে। তারপর ব্লাডারটা ফুল কি না, প্রস্রাব বাথরুমে যেতে আটকে রেখেছেন, এই ধরনের।

এরপরও যদি দেখি যে অনেক সময় ডাক্তারদের চেম্বারে আসলে ব্লাড প্রেসার এমনিতে একটু বেশি পাওয়া যায়, এটাকে আমরা হোয়াইট সিনড্রোম বলে থাকি। তো যদি এ রকম হয়ে থাকে কিংবা ১৪০ লিটল বিট প্লাস মাইনাস এ রকম যদি হয়ে থাকে, একটু কোশ্চেন মার্ক

দেওয়া উচিত যে আপনি বাসাতে ব্লাড প্রেশারটা মাপেন কি না কিংবা আপনার ফ্যামিলিতে ব্লাড প্রেশার আছে কি না। আপনার ওজনটা কেমন। তো এই ধরনের কিছু প্রশ্ন করা যেতে পারে।

এরপরও যদি আপনার হান্ড্রেড আন্ড ফোরটি ওভার নাইনটি কিংবা প্লাস মাইনাস একটু যদি হয়ে থাকে, পরবর্তী ভিজিটটা আবার দুই সপ্তাহ পরে আসা দরকার এবং এটা মাপা দরকার এবং অ্যাট দ্য সেম টাইম যদি সম্ভব হয়ে থাকে, বাসাতে যে ব্লাড প্রেশারের একটা ডাযেরি যদি করা যায়, তাহলে বোঝা যাবে যে ব্লাড প্রেশারটা হচ্ছে কিনা।

যদি দুইটা বা তিনটা রিডিং এইভাবে দেখা যায় কিংবা সিম্পটম হয় কিংবা ফ্যামিলিতে এ ধরনের প্রবলেম আছে কিংবা উনার ওবেসিটির (স্থুলতা) প্রবলেম আছে কিংবা ল্যাক অফ এক্সারসাইজ কিংবা সেডেন্টারি লাইফস্টাইলে অভ্যস্ত কিংবা ধরুন অনেকের জব খুবই স্ট্রেসফুল সিচুয়েশন কিংবা ধরুন অনেক বসে বসে কাজ করেন। সেটি ট্যাক্সি ড্রাইভিং হোক কিংবা কম্পিউটারে হোক, যেটাই হোক। তো এ রকম অনেক কিছু হলেই তখন চিন্তা করা যায় যে হয়তো আপনাকে কি মেডিসিন দিতে হবে কি দিতে হবে না।