নতুন দিনের বার্তা হয়ে আসে প্রতিটি সকাল। দিনের এ সময়ের স্নিগ্ন প্রকৃতি শরীরকে করে চাঙা; মনকে করে ফুরফুরে।
শারীরিক সুস্থতার জন্য সকালে ওঠার পাশাপাশি প্রাতঃকালীন কিছু অভ্যাস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তেমন কিছু অভ্যাস আপনার স্বাস্থ্যের অবস্থা বদলে দিতে পারে বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
১. একই সময়ে জাগা
আমাদের দেহে আছে প্রাকৃতিক এক সার্কাডিয়ান চক্র, যা পরিচিত দেহঘড়ি নামে। জৈবিক এ প্রক্রিয়ার পুনরাবৃত্তি ঘটে প্রায় ২৪ ঘণ্টা পর। রোজ একই সময়ে ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস দেহঘড়ির স্বাভাবিক প্রক্রিয়াকে বজায় রাখতে সাহায্য করে।
২. উষ্ণ পানি পান
সকালে ওঠার পর সবচেয়ে আলোচিত স্বাস্থ্যকর অভ্যাসগুলোর একটি উষ্ণ পানি পান। ঘুমের পরে এ পানি শরীরকে সিক্ত করার পাশাপাশি সহায়তা করে হজমশক্তি বাড়াতে।
৩. মোবাইল ফোন হাতে না নেওয়া
স্মার্টফোনের সহজলভ্যতার আগে ঘুম থেকে উঠে অনেকে পায়চারী করা, টয়লেটে যাওয়া কিংবা গুরুত্বপূর্ণ অন্য কোনো কাজ করতেন, কিন্তু বর্তমান সময়ে তন্দ্রাচ্ছন্নতা কেটে যাওয়া মন কাছে পেতে চায় মোবাইল ফোনটিকে। যদিও এ কাজে রয়েছে স্বাস্থ্যঝুঁকি।
জাগরণ পরবর্তী মোবাইল ফোন চেক হতে পারে আপনার চাপ বৃদ্ধির কারণ। এ থেকে মুক্ত থাকতে চোখ খুলেই সামনে ধরবেন না প্রিয় ডিভাইসটি।
৪. হালকা ব্যয়াম
দীর্ঘক্ষণ ঘুমের পর অপেক্ষাকৃত শক্ত অবস্থায় থাকা পেশিগুলোকে শিথিল করা গুরুত্বপূর্ণ। সে জন্য সকালে ওঠার পরের স্বাস্থ্য পরিবর্তনকারী অভ্যাস হতে পারে শরীরকে হালকা নড়াচড়া করার ব্যায়াম।
৫. প্রাকৃতিক আলোর সংস্পর্শ
সকালে ওঠার পর মনে চনমনে ভাব আনতে পারে সূর্যের আলো। এ আলোতে কয়েক মিনিট কাটালে দেহ পায় নতুন এক অনুভূতি।
৬. গভীর নিশ্বাস বা ধ্যান
অখণ্ড মনোযোগের জন্য দরকার শান্ত মন। এ কাজের জন্য উপযুক্ত সময় সকাল। এ সময়ে গভীরভাবে নিশ্বাস গ্রহণ কিংবা ধ্যানে নিমগ্ন হওয়া স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনে সহায়তা করে।
৭. ভারসাম্যপূর্ণ নাশতা
সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে সহায়তা করে ভারসাম্যপূর্ণ সকালের নাশতা। পুষ্টিবিদ বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে তাজা শাকসবজি, ফলমূল কিংবা ডিমের মতো খাবার খাওয়া সারা দিনের গুরুত্বপূর্ণ জ্বালানি হিসেবে কাজ করতে পারে।