ট্রাম্পের শুল্ক কমিয়ে ২০ শতাংশে আনার চেষ্টা ভারতের

টিবিএন ডেস্ক

প্রকাশিত: জুলাই ১২ ২০২৫, ৬:৫৫ হালনাগাদ: ডিসেম্বর ৮ ২০২৫, ২:২৩

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং অ্যামেরিকার প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: ব্লুমবার্গ

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং অ্যামেরিকার প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: ব্লুমবার্গ

  • 0

বিভিন্ন দেশে শুল্ক-চিঠি পাঠাতে শুরু করেছেন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। এ অবস্থায় দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যচুক্তি নিয়ে মুখ খুললেন দর কষাকষিতে ব্যস্ত ভারতীয় প্রতিনিধিদলের প্রধান।

ইতোমধ্যে ভারতের তিন প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা এবং মায়ানমারে পৌঁছে গেছে অ্যামেরিকার প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক-চিঠি। তবে ভারত-আমেরিকা বাণিজ্যচুক্তি এখনও চূড়ান্ত হয়নি. এমন অবস্থায় অ্যামেরিকার সঙ্গে বাণিজ্যচুক্তি চূড়ান্ত করার চেষ্টা করছে ভারত।

ব্লুমবার্গের প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, দুই দেশের মধ্যকার বাণিজ্য আলোচনা সফল হলে ট্রাম্পের প্রস্তাবিত শুল্ক ২০ শতাংশের নিচে নেমে আসতে পারে। যা দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের তুলনায় ভারতকে একটি সুবিধাজনক অবস্থানে যেতে সহায়তা করবে।

চুক্তি নিয়ে কাজ করছে এমন কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে ব্লুমবার্গ জানিয়েছে, একটি বিবৃতির মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যকার বাণিজ্য চুক্তি ঘোষণা করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

এদিকে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকা জানিয়েছে,অ্যামেরিকার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যচুক্তি এগিয়ে নিতে কাজ করছেন বলে নিশ্চিত করেছেন ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সচিব রাজেশ আগরওয়াল। তিনি ওয়াশিংটনের সঙ্গে দর কষাকষিতে ভারতীয় প্রতিনিধিদলের প্রধান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন।

সংবাদসংস্থা পিটিআই অনুসারে, চলতি বছরের সেপ্টেম্বর-অক্টোবরের মধ্যে অ্যামেরিকার সঙ্গে প্রথম দফার বাণিজ্যচুক্তি সেরে ফেলার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে ভারত। তবে তার আগে একটি অন্তর্বর্তী সমঝোতা সেরে ফেলতে চাইছে নয়াদিল্লি।

অন্তর্বর্তীকালীন চুক্তিতে প্রাথমিকভাবে ২৬ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশের নিচে বেসলাইন শুল্ক নির্ধারণ করা হবে।

এই অস্থায়ী ব্যবস্থা নয়াদিল্লিকে একটি বৃহত্তর বাণিজ্য চুক্তিতে পৌঁছানোর আগে দুই দেশের মধ্যকার অমীমাংসিত বিষয়গুলো সমাধান করার জন্য সময় দেবে।

তবে অন্তর্বর্তীকালীন চুক্তি চূড়ান্ত করার সময় এখনও অস্পষ্ট। শুধু অ্যামেরিকাই নয়, আরও অনেক দেশের সঙ্গে বাণিজ্যচুক্তি নিয়ে আলোচনা চালাচ্ছে ভারত। এর মধ্যে রয়েছে চিলি এবং পেরু-সহ দক্ষিণ অ্যামেরিকার কিছু দেশও।

এদিকে বাংলাদেশি পণ্যের ওপর প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের ৩৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক আরোপের হুমকির প্রভাব পড়তে শুরু করেছে দেশটির পোশাক খাতে। ইতোমধ্যে অ্যামেরিকাভিত্তিক বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান ওয়ালমার্টের এক সরবরাহকারী বাংলাদেশের পোশাক প্রস্তুতকারকদের কাছ থেকে কিছু ক্রয়াদেশে দেরি বা স্থগিত করেছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

শুল্কের হার কমাতে ওয়াশিংটনে বর্তমানে অ্যামেরিকার সঙ্গে আলোচনা করছে বাংলাদেশ। সাম্প্রতিক দিনগুলোতে অনেক দেশের ওপর উচ্চ শুল্ক আরোপের হুমকি নতুন করে দেন ট্রাম্প। এমন পরিস্থিতিতে আলোচনায় বসার উদ্যোগ নেয় বাংলাদেশ।