ট্রাম্পের শুল্ক হুমকি
ওয়ালমার্টের জন্য বাংলাদেশ থেকে পোশাক কেনার কিছু আদেশ স্থগিত

টিবিএন ডেস্ক

প্রকাশিত: জুলাই ১১ ২০২৫, ২০:২৩ হালনাগাদ: নভেম্বর ১০ ২০২৫, ৯:২৭

গাজীপুরে ২০২৫ সালের ৯ এপ্রিল একটি কারখানার সুইং শাখায় কর্মরত বাংলাদেশি পোশাক শ্রমিকরা। ছবি: মোহাম্মদ পনির হোসেন/রয়টার্স

গাজীপুরে ২০২৫ সালের ৯ এপ্রিল একটি কারখানার সুইং শাখায় কর্মরত বাংলাদেশি পোশাক শ্রমিকরা। ছবি: মোহাম্মদ পনির হোসেন/রয়টার্স

  • 0

তিন পোশাক কারখানার মালিক ও এক সরবরাহকারীর বার্তা থেকে এ তথ্য জানতে পেরেছে রয়টার্স।

বাংলাদেশি পণ্যের ওপর প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের ৩৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক আরোপের হুমকির মধ্যে অ্যামেরিকাভিত্তিক বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান ওয়ালমার্টের এক সরবরাহকারী বাংলাদেশের পোশাক প্রস্তুতকারকদের কাছ থেকে কিছু ক্রয়াদেশে দেরি বা স্থগিত করেছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

তিন পোশাক কারখানার মালিক ও এক সরবরাহকারীর বার্তা থেকে এ তথ্য জানতে পেরেছে বার্তা সংস্থাটি।

অ্যামেরিকায় তৃতীয় বৃহত্তম পোশাক রপ্তানিকারক দেশ বাংলাদেশ। দেশের রপ্তানি আয়ের ৮০ শতাংশের জোগানদাতা পোশাক খাত। মোট দেশজ উৎপাদন-জিডিপির ১০ শতাংশও আসে এ খাত থেকে।

বাংলাদেশের তৈরি পোশাক কারখানার মালিকরা জানান, ট্রাম্পের ঘোষণা অনুযায়ী ১ আগস্ট থেকে উচ্চ শুল্ক প্রয়োগ শুরু হলে পোশাক কেনার আদেশ কমতে থাকবে বলে ধারণা করছেন তারা।

তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারক প্যাট্রিয়ট ইকো অ্যাপারেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইকবাল হোসেন রয়টার্সকে জানান, শুল্কের হুমকির কারণে ওয়ালমার্টের জন্য প্রায় ১০ লাখ সুইম শর্টের ক্রয়াদেশ বৃহস্পতিবার স্থগিত হয়ে গেছে।

ক্লাসিক ফ্যাশন নামের একটি প্রতিষ্ঠানের সহকারী মার্চেন্ডাইজিং ম্যানেজার ফারুক সৈকত একটি ইমেইল পাঠান ইকবাল হোসেন ও অন্যদের কাছে।

রয়টার্সের হাতে আসা বার্তাটিতে বলা হয়, ‘অ্যামেরিকাতে আমদানির ক্ষেত্রে উচ্চ শুল্কহারের কারণে আমাদের আলোচনা অনুযায়ী, দয়া করে গ্রীষ্মকালীন সব আদেশ স্থগিত রাখুন।’

ক্লাসিক ফ্যাশন একটি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ও বায়িং এজেন্ট। এটি খুচরায় পণ্য বিক্রেতাদের জন্য ক্রয়াদেশ দিয়ে থাকে।

ফারুক সৈকত জানান, প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী আপাতত বাংলাদেশ থেকে পণ্য নেওয়া স্থগিত রাখা হয়েছে। শুল্কের বিষয়টি সুরাহা হলে পরিকল্পনা অনুযায়ী পোশাক কেনা অব্যাহত থাকবে।

তিনি রয়টার্সকে জানান, ক্রয়াদেশ স্থগিতের সিদ্ধান্তটি ওয়ালমার্ট নেয়নি। এটি ক্লাসিক ফ্যাশনই নিয়েছে।

এ বিষয়ে রয়টার্সের করা প্রশ্নের উত্তর দেয়নি ওয়ালমার্ট।

শুল্কের হার কমাতে ওয়াশিংটনে বর্তমানে অ্যামেরিকার সঙ্গে আলোচনা করছে বাংলাদেশ। সাম্প্রতিক দিনগুলোতে অনেক দেশের ওপর উচ্চ শুল্ক আরোপের হুমকি নতুন করে দেন ট্রাম্প। এমন পরিস্থিতিতে আলোচনায় বসার উদ্যোগ নেয় বাংলাদেশ।

ট্রাম্পের শুল্ক নিয়ে রয়টার্সের সঙ্গে কথা বলেন ডেনিমের পোশাক প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান ডেনিম এক্সপোর্ট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল।

তিনি জানান, বাংলাদেশের জন্য ৩৫ শতাংশ শুল্ক বহাল থাকলে তাদের জন্য টিকে থাকা কঠিন হবে। ক্রয়াদেশ এখনকার মতো থাকবে না।