ফুসফুসের ক্যান্সার এড়াতে দূরে থাকুন ৫টি অভ্যাস থেকে

টিবিএন ডেস্ক

প্রকাশিত: আগস্ট ২ ২০২৫, ৭:৫৩ হালনাগাদ: অক্টোবর ২৪ ২০২৫, ১:৫৮

ধূমপান ছাড়াও একাধিক কারণে ফুসফুসের ক্যান্সার হতে পারে। ছবি: সংগৃহীত

ধূমপান ছাড়াও একাধিক কারণে ফুসফুসের ক্যান্সার হতে পারে। ছবি: সংগৃহীত

  • 0

ফুসফুসের ক্যান্সারের অন্যতম কারণ ধূমপান। কিন্তু তার বাইরেও এমন কয়েকটি কারণ রয়েছে, যা ফুসফুসের ক্ষতি করতে পারে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা’র তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে যে যে ক্যান্সারে মানুষ বেশি আক্রান্ত হন, তার মধ্যে অন্যতম হল ফুসফুসের ক্যান্সার। এই ক্যান্সারের ৮৫ শতাংশ ক্ষেত্রেই দায়ী ধূমপানের অভ্যাস। কিন্তু ধূমপান ছাড়াও একাধিক কারণে ফুসফুসের ক্যান্সার হতে পারে।

চলুন নেয়ে যাক ফুসফুসের ক্ষতি করতে পারে এমন ৫টি অভ্যাস সম্পর্কে-

১) সিগারেটের ধোঁয়া: অনেকেই ধূমপান করেন না। তবে নিজে ধূমপান না করলেও আশপাশের ধূমপায়ীদের সিগারেটের ধোঁয়া থেকেও হতে পারে ফুসফুসে ক্যান্সার। আবার নতুন প্রজন্মের অনেকেই এখন ‘হুক্কা’ পছন্দ করেন। এই হুক্কার ধোঁয়া থেকেও ফুসফুসের ক্ষতি হতে পারে। তাই ফুসফুস ভালো রাখতে হুক্কার অভ্যাস ত্যাগ করাই শ্রেয়।

২) আলস্য: অলসতার স্বভাব আমাদের সবার মধ্যেই কম বেশি আছে। তবে অলসতার স্বভাব স্বাভাবিক জীবনে যাপনে বাধা হয়ে দাঁড়ালে সাবধান হতে হবে। কারণ, আলস্য থেকে ওজন বৃদ্ধি এবং হার্টের স্বাস্থ্য খারাপ হতে থাকে। পাশাপাশি, ফুসফুসও ঠিক মতো কাজ করে না। ফলে ফুসফুসের ক্ষতি হতে পারে।

৩) বসার ভঙ্গি: বাড়িতে কোনও কাজ করার সময়ে বা টিভি দেখার সময়ে অনেকেই সোজা হয়ে বসেন না। পরিবর্তে সোফা বা বিছানায় শুয়ে পড়েন। আবার অফিসে অনেকেই টেবিলে ঝুঁকে কাজ করেন। এই অভ্যাসের ফলে ফুসফুসের ওপর চাপ তৈরি হয়। সময়ের সঙ্গে ফুসফুসের পেশি শিথিল হয়ে যায়। যা ফুসফুসের ক্ষতির জন্য দায়ী। তাই ফুসফুস ভালো রাখতে চাইলে বসার এই অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে।

৪) শ্লেষ্মা: সর্দির সময়ে অনেকেই শ্লেষ্মা মুখ দিয়ে বাইরে বের করতে পারেন না। পরবর্তে তারা শ্লেষ্মা গিলে নেন। ফলে মিউকাসের সঙ্গে বাতাসের দূষিত পদার্থ ফুসফুসের গায়ে জমা হতে শুরু করে। এবং সময়ের সাথে সাথে ফুসফুসের ওপর চাপ সৃষ্টি হয়। তাই শ্লেষ্মা ভেতরে না গিলে বাইরে বের করার অভ্যাস করা অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ণ।

৫) রাসায়নিক: রুম ফ্রেশনার, সুগন্ধিযুক্ত মোমবাতিসহ দৈনন্দিন এমন ব্যবহৃত একাধিক জিনিসে ক্ষতিকারক রাসায়নিক থাকে। দীর্ঘ দিন নিঃশ্বাসের মাধ্যমে তা ফুসফুসে প্রবেশ করে ক্ষতি করে পারে। যা একসময় ক্যান্সারের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাই এসব রাসায়নিক ব্যবহারের ক্ষেত্রে সাবধান হওয়া জরুরি।