হার্ট অ্যাটাকের পর যেভাবে ২৭ কেজি ওজন কমালেন পরিচালক কাশ্যপ

টিবিএন ডেস্ক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১১ ২০২৫, ২২:৫৩ হালনাগাদ: নভেম্বর ১০ ২০২৫, ৩:৪৬

পূর্ণাঙ্গ পন্থায় এগিয়ে ওজন কমাতে পেরেছেন নির্মাতা অনুরাগ কাশ্যপ। ছবি: এনডিটিভি

পূর্ণাঙ্গ পন্থায় এগিয়ে ওজন কমাতে পেরেছেন নির্মাতা অনুরাগ কাশ্যপ। ছবি: এনডিটিভি

  • 0

লক্ষ্য অর্জনে ১১ দিন তরল খাবার খাওয়ার পাশাপাশি কাশ্যপ তার নিয়মিত রুটিনে যোগ করেন যোগব্যায়াম।

ওজন কমানোর গল্প জানিয়েছেন ভারতীয় পরিচালক অনুরাগ কাশ্যপ।

তিনি জানান, ফিটনেসের সামগ্রিক পন্থায় তিনি ২৭ কেজি ওজন কমাতে সক্ষম হয়েছেন।

এনডিটিভির খবরে বলা হয়, লক্ষ্য অর্জনে ১১ দিন তরল খাবার খাওয়ার পাশাপাশি কাশ্যপ তার নিয়মিত রুটিনে যোগ করেন যোগব্যায়াম।

পেমা ওয়েলনেস রিট্রিটকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয়গুলো নিয়ে সংগ্রামের কথা জানান তিনি।

এ চলচ্চিত্র নির্মাতার ভাষ্য, তিনি হার্ট অ্যাটাকের শিকার হন। এ ছাড়া তিনি বারবার শ্বাসকষ্টে পড়েন। তাকে স্টেরয়েডের ওপর নির্ভর করতে হয়। এ সময়টাতে নিজের ওপর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন তিনি।

তিনি জানান, পরিস্থিতির উন্নয়নে অনেক কিছু চেষ্টা করেন। তিনি আসক্তি মুক্ত হওয়ার কর্মসূচিতে যোগ দিলেও এটি তাকে সাহায্য করেনি। তিনি আরও কিছু জায়গায় গিয়েও পাননি সাহায্য। তিনি আসলে বুঝতে পারছিলেন না যে, তার সঙ্গে কী হয়েছে।

নির্মাতা জানান, এতটা ফিট হওয়ার পাশাপাশি নিয়মিত ব্যায়াম করার পরও কেন হঠাৎ এমন পার্থক্য তৈরি হলো, তা বুঝতে পারছিলেন না। কেন ওজন বাড়ছিল, চুল ঝরে যাচ্ছিল, তা বুঝে উঠতে পারছিলেন না। কেন চুল সাদা হয়ে যাচ্ছিল, সেটিও আঁচ করতে পারছিলেন না।

এমন বাস্তবতায় পূর্ণাঙ্গ পদ্ধতিতে এগোতে থাকেন অনুরাগ কাশ্যপ। তিনি তরল খাবার খাওয়ার কঠিন রুটিনে ঢুকে যান।

শুরুর দিকে সংশয় থাকলেও চলচ্চিত্র নির্মাতা শৃঙ্খলা ও প্রতিজ্ঞা ধরে রেখে ১১ দিন তরল খাবার খান। এ পন্থায় ওজন কমানোর পাশাপাশি চাপ কমিয়ে জীবনে ভারসাম্য ফিরে পাওয়ার শিক্ষা পান তিনি।

অনুরাগ বলেন, ‘প্রথমবারের মতো আমি বিশাল ব্যবধান দেখলাম। তখন থেকে আমি ২৭ কেজি ওজন কমিয়েছি।

‘যোগব্যায়াম শিক্ষক আমাকে প্রাণায়াম শিখিয়েছেন। এটি আমাকে কীভাবে শান্ত থাকতে হয়, কীভাবে চাপকে দূরে সরিয়ে ফেলতে হয়, তা শিখিয়েছে।’

পরিচালকের মতে, লোকজন শুরুতে কাজ এবং পরে খাদ্যের কথা ভাবেন। তারপর সময় পেলে ঘুমাতে যান। তারা অন্যান্য বিষয়ে নজর দেন না। নতুন জীবনযাপনের তাকে জীবনের কল্যাণের জন্য দরকার অন্যান্য বিষয়ে আংশিক সময় দেওয়া শিখিয়েছে।