সিএনএনকে শুক্রবার দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ব্লিনকেন এই বক্তব্য দিয়েছেন।
ব্লিনকেন সম্প্রতি চায়নাতে তিন দিনের সফরে গিয়েছেন। সেখানে চাইনিজ প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংসহ চায়নার অন্যান্য শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রযুক্তি খাতে অ্যামেরিকার নিয়ন্ত্রণ থেকে শুরু করে মস্কোর প্রতি বেইজিংয়ের সমর্থনসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন তিনি।
ব্লিনকেন জানিয়েছেন, স্যান ফ্রানসিসকোতে গত বছরের নভেম্বরে সবশেষ সম্মেলনে চাইনিজ প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে অ্যামেরিকার নির্বাচনে হস্তক্ষেপ না করার বার্তা দেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই সময় এমনটা করবেন না বলে বাইডেনকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন শি।
বাইডেনকে দেয়া শির প্রতিশ্রুতি চায়না এখন ভঙ্গ করছে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে ব্লিনকেন বলেন, ‘আমাদের কাছে নির্বাচনে চায়নার প্রভাবিত করা ও হস্তক্ষেপ করার প্রচেষ্টার প্রমাণ রয়েছে। আমরা চাই যে, যত দ্রুত সম্ভব এমনটা বন্ধ করা হোক।’
ব্লিনকেন আরও বলেন, ‘আমাদের নির্বাচনে চায়নার হস্তক্ষেপ এমন একটা বিষয় যা আমরা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। এটি আমাদের কাছে সম্পূর্ণভাবে অগ্রহণযোগ্য। আমি আবার নিশ্চিত করতে চাই যে, তাদের কাছে এই বার্তাটি পৌঁছেছে।’
ব্লিনকেন জানিয়েছেন, চায়না ও অন্য রাষ্ট্রগুলো অ্যামেরিকার সামাজিক বিভাজনকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করার বিষয়ে তাদের উদ্বেগ রয়েছে।
বেইজিং বারবার বলেছে যে, তারা অন্য কোন দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার নীতির ভিত্তিতে অ্যামেরিকার নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করবে না। চায়নার বিরুদ্ধে ক্যানাডাসহ অন্যান্য দেশের রাজনৈতিক বিষয়ে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ রয়েছে।
ব্লিনকেন তার সাক্ষাৎকারে সিএনএনকে বলেন, ‘আমরা এখন এমন ক্ষেত্রগুলোতে মনোযোগ দিচ্ছি যেখানে আমরা একে অপরকে সহযোগিতা করতে পারি। আমরা নিজেদের মধ্যে থাকা পার্থক্য সম্বন্ধেও স্পষ্ট।’
ব্লিনকেন আরও জানান যে, তিনি রাশিয়ার প্রতিরক্ষা শিল্পে চায়নার সমর্থন সম্পর্কে বাইডেন প্রশাসনের উদ্বেগের বিষয়টিও চায়নার প্রেসিডেন্টের কাছে তিনি উল্লেখ করেছেন। তিনি জোর দিয়ে বলেছেন যে, এই ধরণের সমর্থন চলতে থাকলে ১০০টিরও বেশি চাইনিজ সংস্থা এবং ব্যক্তির ওপর বিদ্যমান নিষেধাজ্ঞার বাইরেও অ্যামেরিকা বাড়তি পদক্ষেপ নিতে পারে।