তবে বিবিসি জানিয়েছে, অভ্যন্তরীণ তদন্তে চলবে।
পুলিশের বিবৃতির পরপরই বিবিসির উপস্থাপক হিউ এডওয়ার্ডসের স্ত্রী ভিকি ফ্লিন্ড বিবৃতি দিয়ে জানান, অভিযুক্ত ওই উপস্থাপক তার স্বামী। পুরো ঘটনায় মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে এডওয়ার্ডস এখন চিকিৎসা নিচ্ছেন।
অভিযোগের বিষয়টি গত মে মাসে প্রথম বিবিসির নজরে আসে। তবে নতুন করে অভিযোগ আসে গত বৃহস্পতিবার।
টিনএজারের মা-ই অভিযোগ তোলেন। তিনি জানান, ক্র্যাক কোকেইন কিনতে ৩৫ হাজার ইউরোর বেশি অর্থ তার ছেলেকে দিয়েছেন ওই উপস্থাপক। বিনিময়ে ছেলেটির যৌন উত্তেজক ছবি নিয়ে সংগ্রহ করতেন। তার ছেলের ১৭ বছর বয়স থেকে এই লেনদেন শুরু হয়। এখন তার বয়স ২০ বছর।
ওই নারী জানান, ছেলের ব্যাংক অ্যাকাউন্টের তথ্য থেকে তিনি ওই উপস্থাপকের পরিচয় নিশ্চিত হয়েছেন।
এ ঘটনায় বিবিসি ও মেট পুলিশ তদন্ত শুরু করে। এর মধ্যেই আইনজীবীর মাধ্যমে মায়ের করা সব অভিযোগ নাকচ করেন সেই টিনএজার।
বিবিসিকে পাঠানো আইনজীবীর চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘সন্দেহ এড়াতে জানাচ্ছি আমার মক্কেল ও বিবিসি উপস্থাপকের মধ্যে অনুচিত বা বেআইনি কিছু ঘটেনি।’
মেট পুলিশ বুধবার বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, স্পেশালিস্ট ক্রাইম কমান্ডারের গোয়েন্দারা ঘটনা খতিয়ে দেখেছে। তাতে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের কোনো তথ্য মেলেনি।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘বিবিসি, অভিযুক্ত, অভিযোগকারী, তার পরিবারসহ একাধিক পার্টির সঙ্গে কথা বলে এই সিদ্ধান্তে আমরা পৌঁছেছি। এ বিষয়ে আর কোনো পদক্ষেপ নেয়া হবে না। তবে বিবিসিকে তাদের তদন্ত চালিয়ে নিতে মেট পুলিশ পরামর্শ দিয়েছে।
তবে তদন্তের কোনো পর্যায়ে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অপরাধ সংঘটন বা নিরাপত্তা সংক্রান্ত কোনো তথ্য-প্রমাণ পাওয়া গেলে তা বাহিনীকে সরবরাহের অনুরোধ জানিয়েছে পুলিশ।
এদিনই হিউ এডওয়ার্ডের পক্ষ থেকে বিবৃতি দেন তার স্ত্রী ভিকি ফ্লিন্ড।
তাতে বলা হয়েছে, ‘গত পাঁচ দিন আমার পরিবার অত্যন্ত কঠিন সময় পার করেছে… হিউ গুরুতর মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছেন। তিনি কয়েক বছর ধরেই তীব্র বিষণ্নতায় আক্রান্ত, এর রেকর্ডও আছে।
‘গত পাঁচ দিনে তার পরিস্থিতি আরও অবনতি হয়েছে… তাকে হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে… সুস্থ বোধ করলে তিনি সব কিছুর জবাব দেবেন…।