চিকুনগুনিয়া মহামারির পুনরাবৃত্তি ঠেকানোর আহ্বান ডব্লিউএইচওর

টিবিএন ডেস্ক

প্রকাশিত: জুলাই ২২ ২০২৫, ১৯:৫৭

গুয়াতেমালা সিটিতে জনস্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কীটতত্ত্ব বিভাগের ল্যাবরেটরিতে ২০১৬ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি একজন হেলথ টেকনিশিয়ানের হাতে থাকা নারী মশা। ছবি: রয়টার্স

গুয়াতেমালা সিটিতে জনস্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কীটতত্ত্ব বিভাগের ল্যাবরেটরিতে ২০১৬ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি একজন হেলথ টেকনিশিয়ানের হাতে থাকা নারী মশা। ছবি: রয়টার্স

  • 0

ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে নতুন করে প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে চিকুনগুনিয়ার, যা ছড়িয়ে পড়েছে ইউরোপ ও অন্য মহাদেশে।

দুই দশক আগে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া মশাবাহিত ভাইরাস চিকুনগুনিয়া মহামারির পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে জরুরি ব্যবস্থা নিতে মঙ্গলবার আহ্বান জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা-ডব্লিউএইচও।

সংস্থাটির বরাতে রয়টার্স জানায়, ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে নতুন করে প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে চিকুনগুনিয়ার, যা ছড়িয়ে পড়েছে ইউরোপ ও অন্য মহাদেশে।

ডব্লিউএইচওর মেডিক্যাল অফিসার ডায়ানা রোজাস আলভারেজ জেনেভায় সাংবাদিকদের জানান, ১১৯টি দেশের ৫৬০ কোটি মানুষ ভাইরাসটির ঝুঁকিতে রয়েছেন।

তিনি ২০০৪-২০০৫ সালের মহামারির সময়ের সঙ্গে তুলনা করে বলেন, ‘আমরা ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি দেখছি।’

ওই সময়ে শুরুতে ছোট দ্বীপ রাষ্ট্রগুলোর প্রায় পাঁচ লাখ মানুষ এ ভাইরাসে আক্রান্ত হন। পরবর্তী সময়ে ভাইরাসটি বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে।

রয়টার্সের খবরে উল্লেখ করা হয়, সংক্রমণের বর্তমান বৃদ্ধির শুরুটা ২০২৫ সালের শুরুতে। বড় ধরনের প্রাদুর্ভাব হয়েছে ইতোপূর্বে সংক্রমণের শিকার হওয়া ভারত মহাসাগরীয় দ্বীপাঞ্চলগুলো। এর মধ্যে রয়েছে লা রিইউনিয়ন, ম্যায়ট ও মরিশাস।

রোজাস আলভারেজ জানান, লা রিইউনিয়নের জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশ এরই মধ্যে আক্রান্ত হয়েছে। ভাইরাসটি বর্তমানে মাদাগাস্কার, সোমালিয়া ও কেনিয়ার মতো দেশে ছড়াচ্ছে।

ভারতসহ দক্ষিণপূর্ব এশিয়ায় ব্যাপক হারে সংক্রমণ হচ্ছে।

বিশেষভাবে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে ইউরোপে বাইরে থেকে হওয়া ক্রমবর্ধমান সংক্রমণ এবং সাম্প্রতিক স্থানীয় সংক্রমণ নিয়ে।

রোজাস আলভারেজ জানান, ফ্রান্সের মূল ভূখণ্ডে বাইরে গিয়ে সংক্রমণের শিকার হওয়া লোকজনের সংখ্যা প্রায় ৮০০।