আরএসভি মোকাবেলায় বিশ্বের প্রথম ভ্যাকসিন হতে যাচ্ছে এটি। জিএসকে এই ভ্যাকসিন তৈরি করেছে। তবে বাজারজাত করার জন্য ভ্যাকসিনকে পেতে হবে ইউএস সেন্টার ফর ডিযিয কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের (সিডিসি) অনুমোদন।
বিবিসি জানিয়েছে, আশা করা হচ্ছে আগামী কয়েক মাসের মধ্যে ৬০ বছরের বেশি বয়সীরা এই টিকা নিতে পারবেন।
এফডিএ-এর সেন্টার ফর বায়োলজিকস ইভাল্যুশন অ্যান্ড রিসার্চের প্রধান পিটার মার্কস বলেন, ‘বিশ্বের প্রথম আরএসভি ভ্যাকসিনের এই অনুমোদন জনস্বাস্থ্য খাতে একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্জন। এটি প্রাণঘাতী রোগ প্রতিরোধ করতে সক্ষম।’
আরএসভি একটি শ্বাসকষ্টজনিত অসুস্থতা। এই ভাইরাসের আক্রমণে প্রাপ্তবয়স্কদের দেহে সাধারণ ঠান্ডা-জ্বরের উপসর্গ দেখা যায়। তবে শিশু, বয়স্ক এবং ইতোমধ্যে বিভিন্ন রোগে আক্রান্তদের জন্য এই ভাইরাস বেশ ঝুঁকিপূর্ণ।
সিডিসির তথ্য অনুযায়ী, আরএসভির আক্রমণে অ্যামেরিকায় প্রতি বছর ৫ বছরের কম বয়সী ১০০ থেকে ৩০০ শিশুর মৃত্যু হয়। আর ৬৫ বছরের বেশি বয়সী ৬ হাজার থেকে ১০ হাজার অ্যামেরিকান প্রতি বছর এই ভাইরাসে মারা যায়।এছাড়া, প্রতি বছর গড়ে ৬০ হাজার থেকে ১২০ হাজার এই রোগের কারণে হাসপাতালে ভর্তি হয়। আরএসভি থেকে ব্রঙ্কিওলাইটিসও হতে পারে। আরএক্সভি ভ্যাকসিন তৈরিতে ৬০ বছরের বেশি সময় লেগেছে। আরএসভি ঠেকাতে এখন এটিই বিশ্বের প্রথম অনুমোদিত ভ্যাকসিন। বিবিসি জানিয়েছে, বৃটেইন ভিত্ত্বিক ওষুধ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান জিএসকে গত ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশ করা গবেষণায় জানিয়েছে, আরএক্সভি ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা ৮২.৬ শতাংশ।এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া বেশ ‘হালকা বা মাঝারি’ এবং দুই দিনেই তা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব। প্রাথমিকভাবে ইনজেকশন নেয়ার স্থানের চারপাশে ব্যথা বা দেহে ক্লান্তি অনুভব হতে পারে।