শিশুদের দীর্ঘমেয়াদী স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে ফেলতে পারে স্ক্রিন টাইম

টিবিএন ডেস্ক

জুলাই ২৪ ২০২৩, ১৭:১১

মাত্রাতিরিক্ত স্ক্রিনটাইম চোখ, মস্তিষ্ক ও হৃদযন্ত্রের ওপর প্রভাব ফেলে। ছবি: সংগৃহীত

মাত্রাতিরিক্ত স্ক্রিনটাইম চোখ, মস্তিষ্ক ও হৃদযন্ত্রের ওপর প্রভাব ফেলে। ছবি: সংগৃহীত

  • 0

স্মার্টফোন, ট্যাবলেট ও টিভির প্রতি ঝোঁক বেড়েছে শিশুদের। মাত্রাতিরিক্ত স্ক্রিনটাইম চোখ, মস্তিষ্ক ও হৃদযন্ত্রের ওপর প্রভাব ফেলে। নতুন এক গবেষণায় দেখা গেছে, ছোটবেলায় যারা বেশি টিভি দেখে প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর তারা বেশি স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে থাকে।

অ্যামেরিকার শিশু চিকিৎসকদের সংস্থা পেডিয়াট্রিকসে প্রকাশিত এক গবেষণায় বলা হয়েছে, শিশু ও কিশোর-কিশোরী যারা ডিভাইসের সামনে অনেক বেশি সময় কাটায় মাঝবয়সে তাদের দেহে ব্যায়ামের সময় অক্সিজেন কম সরবরাহ হয়। তারা উচ্চ রক্তচাপ এবং মোটা হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যায় ভোগেন।

গবেষকরা ১৯৭৩ সালে নিউজিল্যান্ডের শত শত শিশুকে নিয়ে গবেষণা শুরু করেন। তারা ৪৫ বছর বয়সী হওয়া পর্যন্ত এ গবেষণা চলেছে।

গবেষক ডাক্তার বব হ্যানকস বলেছেন, টিভি দেখার ফলে যে স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব পড়েছে এর প্রমাণ দিতে পারবে না গবেষণাটি। তবে সম্ভাব্য দুটি কারণ দেখাতে পারবে।

হ্যানককস বলেন, যেসব শিশুর স্ক্রিন টাইম বেশি ছিল তারা শারীরিক কার্যকলাপ কম করতে পারে। কারণ বেশি টিভি দেখার জন্য তারা দীর্ঘ সময় বসে কাটায়। এতে তাদের নড়াচড়া কম হয়। ফলে ওজন বেশি হয় এবং তারা স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে থাকে। এছাড়াও, বেশি টিভি দেখার ফলে জাংক ফুডের প্রতিও তাদের আকর্ষন বাড়ে।

গবেষণাটি এমন একটা সময়ে শুরু হয়েছিল যখন শিশুরা এতটা সময় ডিভাইসের সামনে কাটাত না। তখন স্ক্রিন টাইমের অনেক বিকল্পও ছিল। গবেষকরা বলছেন, এই গবেষণা থেকে অভিভাবকরা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেতে পারে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অভিভাবকদের উচিত শিশুদের স্ক্রিনটাইমের দিকে মনোযোগ দেয়া।

অ্যামেরিকান অ্যাকাডেমি অফ পেডিয়াট্রিক্স বলেছে, বাবা মায়ের স্ক্রিনটাইম সীমিত করা উচিত। বাচ্চাদের মানসিক, সামাজিক, মস্তিষ্কের বিকাশের ক্ষেত্রে আশেপাশের বিষয়বস্তুর দিকে ও অন্যদের সঙ্গে যোগাযোগের ওপর মনোযোগ দেয়া উচিত।

একই সঙ্গে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ স্ক্রিনটাইম কমানোর জন্য অভিভাবকরা পার্কে সময় কাটিয়ে কিংবা বিভিন্ন শারীরিক কার্যকলাপ করাতে পারেন। পরিবারগুলো বাচ্চাদের সঙ্গে অনেক সময় কাটাতে পারেন। এছাড়া বাচ্চাদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি কমাতে অভিভাবকরা স্ক্রিনটাইম কমানোর পাশাপাশি শারীরিক কার্যকলাপ ও খাদ্যাভাসের দিকে মনোযোগের পরামর্শ দেয়া হয়েছে গবেষণায়।


0 মন্তব্য

মন্তব্য করুন