এক উইচ্যাট বিবৃতিতে শুক্রবার ফার্মটি জানায়, জিয়ান শহরের প্ল্যান্টে সরঞ্জাম যোগ করতে ও একটি নতুন কারখানা তৈরির জন্য আগামী কয়েক বছরের মধ্যে চায়নায় চার দশমিক তিন বিলিয়ন ইউয়ান (৬০৫ মিলিয়ন ডলার এর বেশি) বিনিয়োগ করবে মাইক্রন। জিয়ানভিত্তিক লিচেং সেমিকন্ডাক্টরের কাছ থেকে কিনবে চিপ-প্যাকেজিং সরঞ্জাম।
কোম্পানিটির সিইও সঞ্জয় মেহরোত্রা এক বিবৃতিতে বলেন, ‘এ বিনিয়োগ প্রকল্পটি চায়নায় আমাদের ব্যবসা এবং চাইনিজ সদস্যদের প্রতি মাইক্রনের অটল প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন।’
উইচ্যাট বিবৃতিতে মাইক্রন বলেছে, ‘এ বিনিয়োগ মাইক্রনের বৈশ্বিক প্যাকেজিং এবং টেস্টিং ধারণার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ, যা জিয়ানে বহু পণ্য তৈরির অনুমোদন পাবে।’
মোবাইল ডিআরএএম, এনএএনডি এবং এসএসডি চিপ তৈরিরও ঘোষণা দেয় মাইক্রন।
এর আগে এক বিবৃতিতে সাইবারস্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অফ চায়না (সিএসি) জানিয়েছিল, মাইক্রনের পণ্যগুলোয় গুরুতর নেটওয়ার্ক নিরাপত্তা ঝুঁকি রয়েছে যা জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি হতে পারে।
সিএসি-র নোটিশের ব্যাপারে মাইক্রনের এক মুখপাত্র বলেছিলেন, ‘আমরা বিষয়টি মূল্যায়ন করছি; পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে আমরা চাইনিজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যেতে চাই।’
ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় ইউএস কমার্স ডিপার্টমেন্টের এক মুখপাত্র বলেছিলেন, ‘যে বিধিনিষেধের কোনো ভিত্তি নেই আমরা দৃঢ়ভাবে তার বিরোধিতা করি।’
মাইক্রনের এক বছরের বিক্রির প্রায় ১০ শতাংশ আসে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ চায়না থেকে। গত বছর মাইক্রনের ৩০ দশমিক সাত বিলিয়ন ডলারের মধ্যে তিন দশমিক তিন বিলিয়ন ডলারই এসেছিল চায়না থেকে।