নারীদের মধ্যে যে ধরনের ক্যান্সার সবচেয়ে বেশি দেখা যায় তার মধ্যে জরায়ুমুখের ক্যান্সার রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে। বিশ্বে প্রতি বছর গড়ে ৬ লক্ষ ৬০ হাজারের বেশি নারী জরায়ুমুখ ক্যান্সারে আক্রান্ত হন এবং প্রায় ৩ লাখ ৫০ হাজারের বেশি নারী এই রোগে মারা যান।
জরায়ুমুখের ক্যান্সারের জন্য দায়ী ‘হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস’ (এইচপিভি)। এর ২০০ রকম প্রজাতি রয়েছে, যার মধ্যে ১২টি ক্যান্সারের জন্য দায়ী। বিশেষ করে এইচপিভি ১৬ ও এইচপিভি ১৮ জরায়ুমুখের ক্যান্সারের কারণ। এইচপিভি ভাইরাস ঠেকাতে প্রতিষেধক নেওয়া সবচেয়ে জরুরি।
সম্প্রতি ব্রিটেনের ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর হেল্থ অ্যান্ড কেয়ার রিসার্চ’ (এনআইএইচআর) জানিয়েছে, জরায়ুমুখের ক্যান্সার প্রতিরোধে এইচপিভি টিকা প্রায় ৯০ শতাংশ কার্যকরী প্রমাণিত হচ্ছে। শুধু সময়মতো এই টিকাটি নিতে হবে।
কোন বয়স থেকে টিকা নেওয়া যাবে?
৯ থেকে ৪৫ বছর বয়স অবধি টিকা নেওয়া যাবে। তবে বয়স অনুপাতে টিকার ডোজ ভিন্ন হবে। টিকা নেওয়া আদর্শ বয়স ৯ বছর। কারণ এই বয়সে টিকা নিলে ভাইরাসটির সংস্পর্শে আসার আগেই সুরক্ষাবলয় তৈরি হয়ে যায়।
সাধারণত এই বয়সে ৬ থেকে ১২ মাসের ব্যবধানে দুটি ডোজে টিকা নিতে হবে। এছাড়া ১১ থেকে ১২ বছরেও দুটি ডোজে টিকা নেওয়া যাবে।
বয়স ১৫ বছর বা তার বেশি হলে তিনটি ডোজ টিকা নিতে হবে। প্রথম ডোজ নেওয়ার ১ থেকে ২ মাস পরে দ্বিতীয় ডোজ এবং ৬ মাস পরে তৃতীয় ডোজ নিতে হবে।
২৭ থেকে ৪৫ বছর বয়সে টিকা নিতে হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। সে ক্ষেত্রে কারা টিকা নেবেন ও কারা নিতে পারবেন না, তা শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় চিকিৎসকরা পরামর্শ করে নির্ধারণ করে থাকেন।
টিকা কারা নিতে পারবেন না?
অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় টিকা নেওয়া যাবে না। এছাড়া আগে কোনও টিকা নেওয়ার পরে যদি অ্যালার্জির সংক্রমণ ঘটে থাকে অথবা অ্যানাফাইল্যাক্সিসের মতো জীবন-হুমকিস্বরূপ অ্যালার্জিক প্রতিক্রিয়ার ইতিহাস তাহকে তবে এইচপিভি টিকা নেওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।