ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন ও ইউনিভার্সিটি অফ দ্য রিপাবলিক ইন উরুগুয়ের গবেষকরা স্লিপ হেলথ জার্নালে এ তথ্য প্রকাশ করেছেন।
মস্তিষ্কের সংকোচন মূলত বয়সের সঙ্গে সম্পর্কিত। এটি কগনিটিভ প্রবলেম ও নিউরোডিজেনারেটিভ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে বেশি দেখা যায়, যা ঘুমের সমস্যার কারণে হয়ে থাকে।
গবেষকরা বলেন, ‘এ গবেষণার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে আমরা দিনে অভ্যাসগত ঘুম এবং মস্তিষ্কের ব্যাপকতার মাঝে সম্পর্ক খুঁজে পেয়েছি। দুপুরে ঘুমালে সেটি নিউরোডিজেনারেশনের বিরুদ্ধে সুরক্ষা দিয়ে থাকে।’
ইউকে বায়োব্যাংক স্টাডি থেকে পাওয়া তথ্য পর্যালোচনা করে এ গবেষণা করা হয়। ৪০ থেকে ৬৯ বছর বয়সী প্রায় ৫০০ হাজার ব্যক্তির জেনেটিক, লাইফস্টাইল এবং স্বাস্থ্য সংক্রান্ত তথ্য বিশ্লেষন করেছেন গবেষকেরা।
ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের গবেষণার সহ-লেখক ডক্টর ভিক্টোরিয়া গারফিল্ড বলেন, ‘গবেষণাটি প্রাকৃতিক র্যান্ডোমাইযড কন্ট্রোল ট্রায়ালের মতো, যা জনসংখ্যার এক শতাংশ… মানে বহু মানুষ। দিনে অল্প ঘুমও মস্তিষ্কের ভলিউম সংরক্ষণে সাহায্য করে, বিশেষ করে ডিমেনশিয়া প্রতিরোধে।’
ব্রিটিশ নিউরোসায়েন্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট, ইউকে ডিমেনশিয়া রিসার্চ ইনস্টিটিউটের গ্রুপ লিডার এবং এডিনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর ডিসকভারি ব্রেইন সায়েন্সেসের ডেপুটি ডিরেক্টর অধ্যাপক টারা স্পাইরস-জোনস এ গবেষণাকে স্বাগত জানিয়েছেন। তবে গবেষণাটির সীমাবদ্ধতা নিয়েও সতর্ক করেছেন তিনি।