ফ্লোরিডায় বেড়েছে ম্যালেরিয়া রোগী, সিডিসির সতর্কতা জারি

টিবিএন ডেস্ক

জুলাই ১৯ ২০২৩, ১২:০৬

ম্যালেরিয়া ঠেকাতে ফ্লোরিডার স্যারাসোটা কাউন্টিতে চলছে মশানিধন কর্মসূচি। ছবি: সংগৃহীত

ম্যালেরিয়া ঠেকাতে ফ্লোরিডার স্যারাসোটা কাউন্টিতে চলছে মশানিধন কর্মসূচি। ছবি: সংগৃহীত

  • 0

অ্যামেরিকার ফ্লোরিডায় আরও তিন জনের দেহে ম্যালেরিয়ার জীবাণু পাওয়া গেছে। এ নিয়ে স্টেইটের স্যারাসোটা কাউন্টিতে ৭ জন ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হলেন। পরিস্থিতি বিবেচনায় গবেষণা শুরু করেছে সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন- সিডিসির ম্যালেরিয়া রেসপন্স টিম। স্যারাসোটা ও আশপাশের কাউন্টিতে জারি করা হয়েছে বাড়তি সতর্কতা।

এই ম্যালেরিয়া রেসপন্স টিমের নেতৃত্বে রয়েছেন ডক্টর মনিকা প্যারিস। তিনি জানালেন, টেক্সাসে একজন এবং ফ্লোরিডার স্যারাসোটা কাউন্টিতে ৭ জন ম্যালেরিয়া আক্রান্ত হওয়ার পর বিষয়টি নিয়ে গবেষণা শুরু করেছেন তারা।

সিডিসি জানিয়েছে, বিষাক্ত এই মশা স্থানীয় জলাশয়েই জন্মেছে। কারণ, যারা আক্রান্ত হয়েছেন তাদের কেউই সাম্প্রতিক সময়ে দেশের বাইরে ভ্রমণ করেননি।

দীর্ঘদিন পর কেন ম্যালেরিয়া নতুন করে বিস্তার শুরু করেছে তার কারণ না জানাতে পারলেও, প্রতিরোধের লক্ষ্যে গবেষণায় ইতিবাচক ফল পাওয়ার কথা জানিয়েছেন সিডিসির গবেষণা দলের প্রধান।

অনেক প্রজাতির মশার মধ্যে ঠিক কোন মশা ম্যালেরিয়ার প্যারাসাইট বহন করছে, সেটিও শনাক্তের চেষ্টা করছে এই দল। স্থানীয় হেলথ ডিপার্টমেন্টের সঙ্গে ম্যালেরিয়া প্রতিরোধে যৌথভাবে কাজ করছেন সদস্যরা।

সিডিসির তথ্য অনুযায়ী, পি. ভিভ্যাক্স নামের প্যারাসাইট মশার মাধ্যমে মানবদেহে নতুন করে এই ম্যালেরিয়ার জীবাণু বহন করছে। এটি আগেরগুলোর মতো অতটা মারাত্মক না হলেও লিভারে দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলতে সক্ষম।

ডক্টর প্যারিস বলেন, ‘যে কোনো ম্যালেরিয়াকেই গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে। কারণ এতে প্রাণহানির আশঙ্কা থেকেই যায়। সবাইকে অনুরোধ করব যে লক্ষণ দেখা মাত্র রোগ নির্ণয় করে দ্রুত সঠিক ওষুধ নিয়ে চিকিৎসা শুরু করে দিন।’

তিনি জানান, পি. ভিভ্যাক্স সংশ্লিষ্ট ম্যালেরিয়া শনাক্ত হলে তিন দিনের ওষুধ দেয়া হয়। এরপর আরও দুই সপ্তাহ চিকিৎসা দেয়া হয়। তবে ফ্লোরিডার কিছু রোগীর সুস্থ হতে এর চেয়েও বেশি দিন হাসপাতালে কাটাতে হয়েছে।

স্যারাসোটা মেমোরিয়াল হসপিটালের ইনফেকশাস ডিজিজ স্পেশালিস্ট ম্যানুয়েল গর্ডিলো বলেন, ‘সম্প্রতি আক্রান্ত হওয়া রোগীদের বেশিরভাগের মধ্যে ডিহাইড্রেশন দেখা গেছে। তাদের লো ব্লাড কাউন্ট, বিশেষ করে লো প্লাটিলেট পাওয়া গেছে। এমন পরিস্থিতিতে রক্তক্ষরণের ঝুঁকি তৈরি হয়। আক্রান্তদের কয়েকজনের কিডনি অকেজো হয়ে পড়েছে। এটি ম্যালেরিয়ার একটি অন্যতম জটিলতা।’

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গরমের মৌসুমে মশার কামড় থেকে রক্ষা পেতে সতর্কতার বিকল্প নেই। তবে এই ম্যালেরিয়া মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা খুব কম।

ফ্লোরিডার স্যারাসোটা কাউন্টিতে জলাশয় থেকে শুরু করে মশার বংশবিস্তারের সম্ভাব্য স্থানগুলোতে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম শুরু করেছে কাউন্টি মসকুইটো ম্যানেজম্যান্ট সার্ভিসেস।

মশার কামড় থেকে রক্ষা পেতে সতর্কতা অবলম্বনের জন্য বাসিন্দাদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন সংস্থাটির কর্মকর্তা ওয়েড ব্র্যানান।


0 মন্তব্য

মন্তব্য করুন