অ্যালোপেসিয়া রোগে আক্রান্তদের মাথার ত্বক, মুখ বা শরীরের চুল পড়ে যায়। যাদের সংক্রমণের মাত্রা বেশি হয় তারা ধীরে ধীরে মাথার সমস্ত চুল এমনকি ভ্রু ও চোখের পাপড়িসহ শরীরের সকল লোম হারিয়ে ফেলেন।
আক্রান্ত ব্যক্তিদের ইমিউন সিস্টেম তাদের চুলের গোঁড়ায় আঘাত করে। যার ফলে চুল পড়ে যায়। এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা নানা ধরণের মানসিক সমস্যায় ভোগেন। রিটলিসিটিনিব নামে ওষুধটি এই অবস্থার পরিবর্তন করতে পারে।
ওষুধটির দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষার পর দেখা যায়, খাওয়ার পর এই ওষুধটি প্রায় এক চতুর্থাংশ রোগীর মাথার চুল পড়া ৮০ শতাংশ কময়ে দেয়। অ্যালোপেসিয়ার ওষুধ হিসেবে একে এখন পর্যন্ত একমাত্র কার্যকর চিকিৎসা বলে মনে করা হচ্ছে।
এফডিএ ২০২২ সালেও ব্যারিসিটিনিব নামে একটি ওষুদের অনুমোদন দিয়েছিল। তবে দেখা গেছে এর প্রস্তাবিত ডোজে প্রায় ২০ শতাংশ কাজ করে।
বিশেষজ্ঞদের ধারণা, ব্যারিসিটিনিবের জায়গা নেবে রিটলিসিটিনিব। লিটফুলো ব্র্যান্ড নামের অধীনে ফাইজার এই ওষুধটি বাজারে ছাড়বে।
ইয়েল ইউনিভার্সিটির ডার্মাটোলজিস্ট ব্রিটানি ক্রেইগলো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, যেকোন বয়সে অ্যালোপেসিয়ার লক্ষণ দেখা যেতে পারে। তবে বেশিরভাগ রোগীরা তাদের কিশোর বয়স বা বিশ ত্রিশের মধ্যে এই রোগে আক্রান্ত হয়। আর এই ওষুধটি অল্পবয়সীদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিকল্প হিসেবে কাজ করবে।
লিটফুলো ১৮ টি দেশের ৭০০ জনেরও বেশি অ্যালোপেসিয়া রোগীদের নিয়ে এক ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল দিয়েছে। ট্রায়ালে দেখা গেছে এক দশকের কম সময় ধরে তাদের চুল পড়া অর্ধেক কমে গেছে। যারা প্লাসিবো ওষুধ ব্যবহার করেন তাদের চেয়ে লিটফুলো ব্যবহারকারীদের চুল পড়ার হার কম। এক পরীক্ষায় দেখা যায়, ২৩ শতাংশ রোগীর ৬ মাস এই ওষুধ ব্যবহারে তাদের মাথায় ৮০ শতাংশ বা তারও বেশি চুল গজিয়েছে। যা প্লাসিবো ব্যবহারকারীদের তুলনায় ১.৬ শতাংশ বেশি।
লিটফুলো চুল পড়া রোধ করে পাশাপাশি নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালগুলো বলে, এটি চুলের ফলিকলগুলো ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে। এর খুব বেশি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।