নতুন এই প্রযুক্তিটি লিম্ফ নোডের রোগ প্রতিরোধী প্রতিক্রিয়া পরিমাপ করতে পারবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রযুক্তির এই অগ্রগতি একজন নারীর ব্যক্তিগত রিস্ক প্রোফাইলের উপর ভিত্তি করে তাকে আরও উপযোগী চিকিৎসার দিকে নিয়ে যেতে পারবে। এতে করে রোগটি দুরারোগ্য হবার আগেই নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে ।
লন্ডনের কিংস কলেজের একদল গবেষক ৩৪৫ জন নারীর পাঁচ হাজারের বেশি লিম্ফ নোডের উপর গবেষণা করে নতুন প্রযুক্তিটি তৈরি করেছেন।
স্তন ক্যানসারের কোষগুলো সাধারণত প্রথমে টিউমারের সবচেয়ে কাছের আর্ম্পিটের লিম্ফ নোডে বা অ্যাক্সিলাতে ছড়িয়ে পড়ে। এমনটি ঘটলে সাধারণত রোগীকে চিকিৎসা দেয়া শুরু হয় যাতে, ক্যানসার অন্য কোথাও ছড়িয়ে না পড়তে না পারে।
তবে বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেছেন, স্তন ক্যানসারের কোষগুলো লিম্ফ নোড আক্রান্ত করার আগেই অন্য কোথাও ক্যানসার ছড়িয়ে পড়বে কিনা তা প্রযুক্তির মাধ্যমে শনাক্ত করা সম্ভব।
কিংস কলেজ লন্ডনের স্তন ক্যানসার নাউ ইউনিটের নেতৃত্ব দেয়া গবেষক ডা. অনিতা গ্রিগোরিয়াডিস বলেন, ‘আমাদের এআই ব্যবহার করে আমরা প্রচুর লিম্ফ নোডের ছবি দেখেছি এবং নির্দিষ্ট প্যার্টানে পৌঁছাতে পেরেছি।’
তিনি আরও বলেন , ‘ছবিগুলো দেখার সময় আমরা লক্ষ্য করেছি যখন আমরা এই নতুন ফিচারটি ব্যবহার করি তখন তা রোগীর শরীরে ক্যানসারের কোষের বিকাশকে দীর্ঘ সময়ের জন্য আটকে রাখতে পারে।’
স্তন ক্যান্সার নাউ এর রিসার্চ ডিরেক্টর ডা. সাইমন ভিনসেন্ট বলেন, ‘প্রতি বছর প্রায় আট হাজার বৃটিশ নারী ট্রিপল নেগেটিভ ক্যানসারে আক্রান্ত হন। অর্থাৎ স্তন ক্যানসারের ১৫ শতাংশ ট্রিপল নেগেটিভ। অথচ মাত্র অল্প কয়েকটি চিকিৎসা পদ্ধতি রয়েছে রোগটির। যেসব নারী জেনেটিক্যালি বিআরসিএ জিন পেয়েছেন তাদের এই রোগটি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।’
প্যাথেলজি জার্নালে গবেষণার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। এআই মডেলটিকে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে নেয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছেন গবেষকেরা।