তিনি সোশ্যাল মিডিয়ার অতিরিক্ত ব্যবহারকে শিশু কিশোরদের মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য বড় ধরনের ঝুঁকি বলে উল্লেখ করেন।
এবিসি নিউজকে বুধবার দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘সোশ্যাল মিডিয়ার কারণে তরুণ প্রজন্ম যে বাধা ও ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে সেটা নিয়ে আমি উদ্বিগ্ন। এর বিরুদ্ধে অতিদ্রুত পদক্ষেপ নেয়া ছাড়া আমাদের কোনো বিকল্প নেই। গবেষণার মাধ্যমে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে তরুণদের ক্ষতির কারণ খতিয়ে দেখে এ মাধ্যমটিকে নিরাপদ করে গড়ে তুলতে হবে’।
ফেডারেল ট্রেড কমিশনের এক সমীক্ষায় দেখা যায় ৯৫ শতাংশ অ্যামেরিকান টিন-এজার সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে। সোশ্যাল মিডিয়া ব্যাবহারের সর্বনিম্ন বয়স ১৩ হলেও এর ৪০ শতাংশ ব্যবহারকারীর বয়স ৮ থেকে ১২ এর মধ্যে। শিশুরা শুধু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারই করে না তারা এতে আসক্ত হয়ে পড়ে অতি সহজেই। প্রতিটি শিশু গড়ে সাড়ে তিনঘণ্টা করে সময় ব্যয় করে যা অত্যন্ত ঝুঁকির কারণ।
সার্জন ভিভেকের মতে, তিন ঘণ্টা সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার একটি শিশুর বিষণ্ণতা ও উদ্বগজনিত অসুখের ঝুঁকি বৃদ্ধি করে।
তিনি যোগ করেন যে, মাঝরাত পর্যন্ত জেগে থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার শিশু-কিশোরদের স্নায়ুর ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলার পাশাপাশি তাদের মাঝে আত্মহত্যার প্রবণতা তৈরি করে।
ভিভেকের মনে করেন, বাবা মায়ের একার পক্ষে এ সমস্যা সমাধান করা সম্ভব না। তিনি সমস্যা সমাধানের জন্য আইনপ্রণেতা ও প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোকে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘শিশুদের ব্যবহার্য অন্য পণ্য যেমন, ওষুধ, গাড়ির সিট, শিশুদের ফর্মুলাকে আমরা যেভাবে গুরুত্বের সঙ্গে নেই তেমনি এই প্ল্যাটফর্মগুলোর ক্ষেত্রেও আমাদের শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। যাতে করে মা-বাবারা তাদের সন্তানের জন্য সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।’