মেডিকেল জার্নাল জামা তে প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে ২০১৯ সালে আনুমানিক ১,২১০ জনের মাতৃমৃত্যু হয়েছে, যেখানে ১৯৯৯ সালে সংখ্যাটি ছিল ৫০৫।
গবেষকরা বলেছেন, ‘অ্যামেরিকান ইন্ডিয়ান ও আলাস্কা নেটিভ নারীদের মধ্যে মাতৃমৃত্যু হার সময়ের সঙ্গে সর্বাধিক বৃদ্ধি পেতে দেখা গেছে।’
প্রতি ১০০,০০০ শিশুর জন্মের ক্ষেত্রে মৃত্যুর সংখ্যা সামগ্রিকভাবে ১২.৭ থেকে বেড়ে ৩২-এ দাঁড়িয়েছে। অ্যামেরিকান ইন্ডিয়ান ও আলাস্কা নেটিভদের মধ্যে এই হার ১৪ শতাংশ থেকে ৪৯.২ শতাংশে পৌঁছেছে, কৃষ্ণাঙ্গদের মধ্যে ২৬.৭ শতাংশ থেকে বেড়ে হয়েছে ৫৪.৪ শতাংশ।
গবেষকেরা দেখেছেন উত্তর-পূর্বের কয়েকটি স্টেইটে কৃষ্ণাঙ্গ মাতৃমৃত্যুর হার সবচেয়ে বেশি।
গবেষক দলের প্রধান ও বোস্টনের চিকিৎসা কেন্দ্র ম্যাস জেনারেল ব্রিগহ্যামের ড. অ্যালিসন ব্রায়ান্ট একটি বিবৃতিতে বলেছেন, ‘দক্ষিণের স্টেইটগুলোকে বলা হয় দেশের উচ্চ মাতৃমৃত্যু হারের এলাকা। সেখানে ক্যালিফোর্নিয়া ও ম্যাসাচুসেটস সবার ওপরে। কিন্তু এতে পুরো বিষয়টি বোঝা যায় না।’
দক্ষিণের স্টেইটগুলোতে জাতিগত গোষ্ঠীতে মাতৃমৃত্যুর হার বেশি ছিল। বিশেষত কৃষ্ণাঙ্গদের জন্য এ হার সর্বোচ্চ। মিডওয়েস্ট ও গ্রেট প্লেইন স্টেইটে অ্যামেরিকান ইন্ডিয়ান ও আলাস্কান নেটিভ নারীদের ক্ষেত্রে এ হার সর্বোচ্চ ছিল।
ইউএস সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন জানিয়েছে, ‘গর্ভাবস্থা শেষ হওয়ার এক বছরের মধ্যে মৃত্যুর সবচেয়ে সাধারণ কারণগুলির মধ্যে রয়েছে মানসিক স্বাস্থ্য অবনতি, অতিরিক্ত রক্তপাত, কার্ডিয়াক ও করোনারি অসুখ, সংক্রমণ, রক্ত জমাট বাঁধা ও গর্ভাবস্থার সঙ্গে সম্পর্কিত উচ্চ রক্তচাপ।’