
৯৯ শতাংশ মানুষের হার্ট অ্যাটাক হয় এই ৪ কারণে

টিবিএন ডেস্ক
প্রকাশিত: নভেম্বর ২৭ ২০২৫, ৯:১৭ হালনাগাদ: ডিসেম্বর ৫ ২০২৫, ২:৫০

চিকিৎসকদের মতে, বেশিরভাগ মানুষের প্রথম হার্ট অ্যাটাক হঠাৎ করে হয় না। ছবি: নিউজ১৮
- 0
বিশেষজ্ঞদের মতে, ঝুঁকিগুলোর দিকে মনোযোগ না দেয়া হলে আগামীতে হৃদরোগে আক্রান্তের সংখ্যা আরও বাড়বে।
সম্প্রতি বাড়ছে হৃদরোগের সমস্যা। বিশেষত কোভিডের পর এই গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী।
বিশেষজ্ঞদের মতে, মানুষ যদি তাদের খাদ্যাভ্যাস এবং জীবনযাত্রার ঝুঁকিগুলোর দিকে মনোযোগ না দেয় তবে আগামীতে হৃদরোগে আক্রান্তের সংখ্যা আরও বাড়বে। সময় থাকতে তাই ওয়ার্নিং-বেল শুনে সতর্ক হতে হবে।
হৃদরোগ এখন মৃত্যুর সবচেয়ে বড় কারণ । নগরায়ন, অনিয়মিত জীবনযাত্রা, খারাপ খাদ্যাভ্যাস, মানসিক চাপ, ধূমপান এবং ডায়াবেটিসের মতো রোগ এর প্রধান কারণ।
বেশিরভাগ হৃদরোগ বা ব্রেন স্ট্রোক বা কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট, হঠাৎ করে হয় না, বরং এর ঝুঁকির কারণগুলো আগে থেকেই আমাদের শরীরে বাড়তে শুরু করে । সেগুলিকে ঠিক সময় চিনে নেওয়া জরুরি। উচ্চ রক্তচাপ, উচ্চ কোলেস্টেরল, ডায়াবেটিস, স্থূলতা এবং ধূমপান, এই ভয়ঙ্কর অসুখগুলো ঝুঁকি বাড়ায়।
শরীরে লুকিয়ে থাকা চারটি বড় কারণ-
চিকিৎসকদের মতে, বেশিরভাগ মানুষের প্রথম হার্ট অ্যাটাক হঠাৎ করে হয় না, বরং এর পিছনে কিছু নীরব ঝুঁকির কারণ লুকিয়ে থাকে, যেমন
উচ্চ রক্তচাপ – দীর্ঘ সময় ধরে উচ্চ রক্তচাপ ধমনীর দেওয়ালে চাপ দেয়। আর ব্লাড প্রেসার অনেকেই নিয়মিত নজরে রাখেন না।
কোলেস্টেরল – রক্তে উচ্চ এলডিএল বা খারাপ কোলেস্টেরল, ধমনীতে ফ্যাট জমা করে, যা রক্তের প্রবাহে বাধা দেয়।
ব্লাড সুগার বা ডায়াবেটিস– উচ্চ শর্করার মাত্রা হৃদরোগের ঝুঁকি কয়েকগুণ বাড়িয়ে তোলে।
ধূমপান – তামাক হৃদপিণ্ড এবং ধমনী উভয়েরই ক্ষতি করে। এই সব কারণ ধীরে ধীরে হার্টকে নষ্ট করতে পারে, হার্টের কাজের ক্ষতি করতে পারে।
কীভাবে হৃদরোগের ঝুঁকি কমাবেন?
আশার কথা একটাই, সঠিক খাদ্যাভ্যাস, নিয়মিত ব্যায়াম এবং স্বাস্থ্য পরীক্ষার মাধ্যমে হৃদরোগের ঝুঁকি অনেকাংশে কমানো যেতে পারে। এর জন্য আপনাকে আপনার খাদ্যতালিকায় কিছু পরিবর্তন করতে হবে, যেমন ফল, সবুজ শাকসবজি, গোটা শস্য এবং স্বাস্থ্যকর ফ্যাট অন্তর্ভুক্ত করুন।
ব্যায়াম করুন। প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিটের হাঁটা বা ইয়োগা করা উচিত। ধূমপান ত্যাগ করুন। তামাক সেবন বন্ধ করলে হৃদরোগের ঝুঁকি তাৎক্ষণিকভাবে কমে যায়। বেশিরভাগ স্ট্রোক এবং হৃদরোগ হয় কারণ মানুষের স্বাস্থ্যের ওপর নজর না রাখার কারণে। সময়মতো পরীক্ষা করা হলে, ডাক্তাররা প্রাথমিক পর্যায়েই চিকিৎসা শুরু করতে পারেন। বিশেষ করে ৩০ বছরের বেশি বয়সী ব্যক্তি বা যাদের পরিবারে হৃদরোগের ইতিহাস আছে, তাদের নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো উচিত।