ফ্যাটি লিভারের যে ৮ লক্ষণের বিষয়ে সতর্ক হওয়ার সময় এখনই

টিবিএন ডেস্ক

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৯ ২০২৫, ০:১৩

শারীরিকভাবে নিষ্ক্রিয় থাকার পাশাপাশি উচ্চ মাত্রার শর্করাযুক্ত খাবার ও অস্বাস্থ্যকর চর্বি গ্রহণের ফলে বিশ্বজুড়ে লাখ লাখ মানুষ ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত হচ্ছেন। ছবি: এনডিটিভি

শারীরিকভাবে নিষ্ক্রিয় থাকার পাশাপাশি উচ্চ মাত্রার শর্করাযুক্ত খাবার ও অস্বাস্থ্যকর চর্বি গ্রহণের ফলে বিশ্বজুড়ে লাখ লাখ মানুষ ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত হচ্ছেন। ছবি: এনডিটিভি

  • 0

অতিরিক্ত চর্বি নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে একসময় তা নন-অ্যালকোহলিক স্টিটোহেপাটাইটিস (এনএএসএইচ), লিভার ফাইব্রোসিস, সিরোসিস কিংবা লিভার ক্যানসারের মতো রোগে রূপ নিতে পারে। এ কারণে ফ্যাটি লিভার রোগের লক্ষণগুলো চিহ্নিত করতে পারা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

কোনো ব্যক্তির লিভারে অতিরিক্ত ফ্যাট বা চর্বি জমে যে রোগ সৃষ্টি হয়, তার নাম ফ্যাটি লিভার। বাড়তি মেদ লিভারের সাধারণ কর্মক্ষমতাকে ব্যাহত করতে পারে।

শারীরিকভাবে নিষ্ক্রিয় থাকার পাশাপাশি উচ্চ মাত্রার শর্করাযুক্ত খাবার ও অস্বাস্থ্যকর চর্বি গ্রহণের ফলে বিশ্বজুড়ে লাখ লাখ মানুষ ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত হচ্ছেন।

অতিরিক্ত চর্বি নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে একসময় তা নন-অ্যালকোহলিক স্টিটোহেপাটাইটিস (এনএএসএইচ), লিভার ফাইব্রোসিস, সিরোসিস কিংবা লিভার ক্যানসারের মতো রোগে রূপ নিতে পারে। এ কারণে ফ্যাটি লিভার রোগের লক্ষণগুলো চিহ্নিত করতে পারা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

এআইআইএমএস, হার্ভার্ড ও স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটিতে প্রশিক্ষণ নেওয়া গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজিস্ট ডাক্তার সৌরভ শেঠি ফ্যাটি লিভারের আটটি সতর্ক সংকেতের বিষয়ে জানিয়েছেন, যেগুলোর বিষয়ে অবহেলা ডেকে আনতে পারে বড় বিপদ।

১. ওজন বৃদ্ধি

ডাক্তার সৌরভের মতে, অপ্রত্যাশিত ওজন বৃদ্ধি, বিশেষত তলপেটের আশপাশের এলাকায়, ফ্যাটি লিভার রোগের সংকেত হতে পারে। ওই এলাকায় চর্বি জমা হওয়া লিভারের কর্মকাণ্ডে ঝামেলার নির্দেশক হতে পারে।

২. ক্রমাগত ক্লান্তি ও দুর্বলতা

দিনের কোনো একটা সময়ে প্রত্যেকেই ক্লান্ত অনুভব করেন, কিন্তু যথেষ্ট বিশ্রামের পরও ক্রমাগত ক্লান্তি ও দুর্বলতা লিভারে ঝামেলার ইঙ্গিত হতে পারে বলে জানিয়েছেন সৌরভ।

৩. তলপেটে ব্যথা ও ফোলা ভাব

তলপেটে ব্যথা ও তার ওপরের অংশের ডান দিকে ফোলা ভাব ফ্যাটি লিভার রোগের ইঙ্গিতবাহী হতে পারে বলে জানিয়েছেন সৌরভ শেঠি। তার মতে, চর্বির কারণে লিভার স্ফীত হলে সাধারণত এ ধরনের ঘটনা ঘটে, যার ফলে ব্যথা ও অস্বস্তি হতে পারে।

৪. রক্তে উচ্চ মাত্রার শর্করা

কারও রক্তে উচ্চ মাত্রার শর্করা বিপাকীয় বিঘ্নের নির্দেশক, যা ফ্যাটি লিভারের সঙ্গে যুক্ত। ডাক্তার সৌরভ জানান, যেসব ব্যক্তির ফ্যাটি লিভার আছে, তাদের মধ্যে প্রায়ই ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স দেখা যায়।

৫. গাঢ় রঙের প্রশ্রাব ও বিবর্ণ মল

প্রশ্রাব ও মলের রঙে পরিবর্তন লিভারের স্বাভাবিক কর্মকাণ্ড ব্যাহত হওয়ার সংকেত দিতে পারে। অতিরিক্ত বিলিরুবিনের কারণে প্রশ্রাবের রং গাঢ় হতে পারে। অন্যদিকে মলের রং বিবর্ণ হওয়া হজমে সমস্যার ইঙ্গিত হতে পারে, যা লিভারের কর্মকাণ্ড ব্যাহত হওয়ার লক্ষণ।

৬. জন্ডিস

ত্বক ও চোখের রং হলুদ হয়ে যাওয়া জন্ডিস হিসেবে পরিচিত। এটি অবনতিশীল ফ্যাটি লিভার রোগের উদ্বেগজনক সংকেত। এ ধরনের লক্ষণের অর্থ হলো আপনার লিভারের চিকিৎসা জরুরি।

৭. উচ্চ মাত্রার কোলেস্টেরল

উচ্চ মাত্রার কোলেস্টেরলের সঙ্গে ফ্যাটি লিভারের সহাবস্থান প্রায়ই ঘটে। কোলেস্টেরলের স্তর বৃদ্ধি লিভারের কর্মকাণ্ডকে ব্যাহত করার পাশাপাশি কার্ডিওভাসকুলার সমস্যার ‍ঝুঁকি বাড়াতে পারে।

৮. সহজেই ক্ষত ও রক্তপাত

ফ্যাটি লিভার অবনতিশীল অবস্থায় যাওয়ার ফলে রক্ত জমাট বাঁধার জন্য প্রয়োজনীয় প্রোটিন উৎপাদনে হিমশিম খায় লিভার। এর ফলে ক্ষতের ক্রমবর্ধমান ঝুঁকি বা প্রবলিম্বত রক্তপাত লিভারের মারাত্মক ক্ষতির নির্দেশক হতে পারে।