শরীর ও মনের তৃপ্তি জুড়াতে বেশিরভাগের কাছে ঠান্ডা পানির কদর বেশি।
কেউ কেউ বছরজুড়ে পান করেন রেফ্রিজারেটরের বরফ শীতল পানি, যা বেশ অস্বাস্থ্যকর।
তবে প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠার পর কুসুম গরম পানি পান করার অভ্যাস বদলে দিতে পারে আপনার জীবন।
আদ্রতা বাড়ায়
রাতে দীর্ঘ সময় ঘুমিয়ে থাকার কারণে দিনের শুরুটা হয় পানিশূন্যতা দিয়ে। সারাদিন পর্যাপ্ত পানি পান করলেও অনেক সময় এ ঘাটতি পূরণ হয় না। ঘুম ভাঙার পর এক গ্লাস কুসুম গরম পানি দ্রুত শরীরে আদ্রতা বাড়ায়। যার ফলে সারাদিনের কর্মব্যস্ততায় ক্লান্ত লাগে না।
হজমশক্তি বৃদ্ধি
দিনের শুরুতে ঈষদুষ্ণ গরম পানি পান করলে সারাদিন খাবার হজম করা সহজ হয়। হালকা গরম পানি পান খাবার ভাঙতে সাহায্য করে। পাশাপাশি আগের দিন পেট ফাঁপা কিংবা কোষ্ঠকাঠিন্য হলে সারাতে সাহায্য করে।
শরীর বিষমুক্ত রাখে
শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ দূর করতে বিভিন্ন ধরনের ডিটক্স ওয়াটার এখন জনপ্রিয়। শুধু এক গ্লাস কুসুম গরম পানিই করতে পারে ডিটক্স ওয়াটার এর কাজ। এটি অনেকটা পানির ঝাপটার মতো কাজ করে। কিডনিকে দ্রুত বর্জ্য পদার্থ নিষ্কাশন করতে সাহায্য করে।
রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়
ঘুম ভাঙার পর কুসুম গরম পানি পান করলে শরীরের কোষে অক্সিজেন সরবরাহ বেড়ে যায়। এতে করে শরীরে রক্ত সঞ্চালন ঠিক থাকে। পাশাপাশি সারাদিন কাজে শক্তির যোগান দেয়।
মানসিক চাপ দূর করে
পানির সঙ্গে আছে মন ও মস্তিষ্কের সম্পর্ক। পানির সংস্পর্শ আমাদের মন চাঙা করে, ক্লান্তি কাটায়, নতুন উদ্দীপনা জাগায়। এক্ষেত্রে পানির তাপমাত্রা কেমন সেটিও ভূমিকা রাখে। বিশেষ করে কুসুম গরম পানি পান দুশ্চিন্তা ও মানসিক চাপ কাটিয়ে সুন্দর একটি দিনকে স্বাগত জানায়।
ত্বক ভালো রাখে
কুসুম গরম পানির কাজ অনেকটা ত্বকের ময়েশ্চারাইজারের মতো। নিয়মিত সকালে কুসুম গরম পানি পান ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা ঠিক রাখে। পাশাপাশি ত্বক পরিষ্কার করে।
ওজন নিয়ন্ত্রণ করে
ওজন নিয়ন্ত্রণের জন্য শরীরের বিপাক ক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ বেশ গুরুত্বপূর্ণ। বলা হয় যে, দিনের শুরুতে কুসুম গরম পানি পান করলে শরীরের বিপাক ক্রিয়া নিয়ন্ত্রণে থাকে। এতে করে ওজন নিয়ন্ত্রণ কিংবা ডায়েট সহজ হয়।
শীতে স্বস্তি দেয়
শীতকালে সর্দি, কাশি, জ্বর অতি পরিচিত ঘটনা। কুসুম গরম পানিতে থাকা বাষ্প এ সময় নাকের নলিতে থাকা শ্লেষ্মা নরম করতে সাহায্য করে। ফলে ঠান্ডাজনিত রোগ থেকে দূরে থাকা যায়। এ ছাড়া সাইনাস আক্রান্ত রোগীদের জন্য দিনের শুরুতে কুসুম গরম পানি পান বেশ কার্যকরী।