বর্তমান সময়ে নীরব ঘাতক হিসেবে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে ডায়াবেটিস। বিশেষজ্ঞদের মতে, সঠিক জীবনযাপন ও স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ডায়াবেটিস প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় কিছু খাবার গ্রহণ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে সহায়ক হতে পারে বলে টিবিএন ওয়েলনেসকে জানিয়েছেন ফ্যামিলি মেডিসিন স্পেশালিস্ট ডাক্তার সাখাওয়াত হোসেন মঞ্জু।
১. ওটস ও শস্যজাতীয় খাবার
শস্যজাতীয় খাবারে থাকে প্রচুর ফাইবার, যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। সকালের নাশতায় ওটস, লাল চাল বা ব্রাউন ব্রেড রাখতে পারেন। এ ধরনের খাবার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।
২. শাকসবজি ও পাতাজাতীয় খাবার
পালং শাক, কলমি শাক, লাউ, করলা, ব্রকলি বা বাঁধাকপির মতো সবজিগুলোতে ক্যালোরি কম এবং ভিটামিন ও খনিজ বেশি থাকে। এগুলো রক্তে শর্করার স্তর স্থিতিশীল রাখতে সাহায্য করে।
৩. ফলমূল
আপেল, কমলা, পেয়ারা, জাম, বেরিজাতীয় ফল কিংবা ড্রাগন ফ্রুটে প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ফাইবার থাকে, যা শরীরের ইনসুলিনের কার্যকারিতা বাড়ায়, তবে খুব বেশি মিষ্টি ফল (যেমন: আম, কলা বা আঙুর) পরিমিত পরিমাণে খাওয়াই ভালো।
৪. ডাল ও বাদামজাতীয় খাবার
মসুর ডাল, ছোলা, মুগডালসহ বিভিন্ন ডাল শরীরের প্রয়োজনীয় প্রোটিন জোগায়। এ ছাড়া কাঠবাদাম, আখরোট বা কাজুবাদামে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট থাকে, যা ডায়াবেটিস প্রতিরোধে সহায়ক।
৫. মাছ ও চর্বিহীন প্রোটিন
দেশি মাছ, বিশেষ করে ইলিশ, রুই, কাতলা বা সামুদ্রিক মাছের মধ্যে থাকা ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড শরীরের জন্য উপকারী। মুরগির মাংস বা ডিমের সাদা অংশও ভালো প্রোটিনের উৎস। তাই খাদ্য তালিকায় এ ধরনের প্রোটিন রাখা গুরত্বপূর্ণ।
৬. দই ও দুগ্ধজাত খাবার
চিনি ছাড়া দই এবং লো-ফ্যাট দুধ শরীরে প্রোবায়োটিক সরবরাহ করে, যা হজমে সাহায্য করে এবং শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডায়াবেটিস প্রতিরোধে শুধু খাবারের প্রতি নজর দিলেই হবে না। সেই সঙ্গে নিয়মিত শরীরচর্চা, পর্যাপ্ত ঘুম ও মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ করাও অত্যন্ত জরুরি।