সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ ও দুর্নীতির দায়ে শনিবার ইমরান খানকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেয় বিচারিক আদালত। এর পরপরই তাকে লাহোরের বাসভবন থেকে গ্রেফতার করা হয়।
ইমরানকে পূর্ব পাঞ্জাব প্রদেশে কঠোর নিরাপত্তা ঘেরা কারাগারে রাখা হয়েছে।
আইনজীবীরা তার মুক্তি ও আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে অ্যাপিলের আবেদন করেন।
এর পরিপ্রেক্ষিতে আদালত বলেছে, তারা এ বিষয়ে ‘সরকারের জবাব’ চেয়েছে। সেই সঙ্গে খানের অ্যাপিলের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে পাকিস্তানের ইলেকশন কমিশনের আইনজীবীদেরও মতামত নেয়া হবে।
তোষাখানা দুর্নীতি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় খানকে পাঁচ বছরের জন্য রাজনীতিতে অযোগ্যও ঘোষণা করেছে দেশটির ইলেকশন কমিশন (ইসিপি)। তার বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিদেশ সফরে অবৈধভাবে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন উপহার কেনা-বেচার অভিযোগ আনে ইসিপি।
গ্রেফতারের পর থেকে ইমরান খান তার আইনজীবী নাঈম হায়দার পাঞ্জুথার সঙ্গে মাত্র একবার দেখা করার সুযোগ পেয়েছেন। পাঞ্জুথা বুধবার আদালতে ইমরানের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন।
সাবেক প্রধানমন্ত্রীর মুক্তির দাবি জানিয়ে পাঞ্জুথা বলেন, ‘খান কোনো আইন লঙ্ঘন করেননি, তার গ্রেফতার অবৈধ।’
বিচারাধীন ও কারাবন্দি রাজনীতিবিদদের জন্য বিশেষায়িত কারাগারে ইমরান খানকে পাঠানোর আবেদন জানিয়েছেন তার আইনজীবীরা। সাধারণত হাই-প্রোফাইল ব্যক্তিত্বদের গ্রেফতারের পর রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে রাখা হয়। সেখানে বিভিন্ন সুবিধাসহ বিশেষ কক্ষ রয়েছে।