সেমি-ফাইনালে মঙ্গলবার পাকিস্তানের বিপক্ষে এক রোমাঞ্চকর জয় নিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করেছিল বাংলাদেশের মেয়েরা। তবে শিরোপা মঞ্চে ভারতের বিপক্ষে ব্যাটিং ব্যর্থতায় পড়তে হয় লতা মন্ডলের দলকে।
টস জিতে আগে ব্যাটিং করতে নেমে ৭ উইকেটে ১২৭ রানে আটক হয় ভারত। তবে জবাবে টপ অর্ডারের ব্যর্থতায় ১৯.২ ওভারে মাত্র ৯৬ রান করতে পারে বাংলাদেশ।
লক্ষ্যমাত্র বড় না হলেও ব্যাট হাতে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই ওপেনার দিলারা আক্তারকে হারায় বাংলাদেশ। সাথি রানির সঙ্গে সোবহানা মোশতারি একটা জুটির আভাস দিয়েছিলেন। কিন্তু থিতু হয়ে থামেন দুজনই। ১১ বলে ১৩ রান করে বিদায় নেন সাথি। সোবহানা করেন ২২ বলে ১৬ রান।
পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে বাংলাদেশের মিডল অর্ডার। অধিনায়ক লতা, মুরশিদা খাতুন, স্বর্ণা আক্তার; তিনজনের কেউই দুই অংকের কোটা স্পর্শ করতে পারেনি।
৫৬ রানেই তাই ৬ উইকেট হারিয়ে ব্যাকফুটে চলে যাওয়া বাংলাদেশকে আবারও টানছিলেন নাহিদা আক্তার। কিন্তু তার একার পক্ষে কঠিন সমীকরণ মেলানো সম্ভব ছিল না। নাহিদা এক প্রান্তে আগলে রেখে দাঁড়িয়ে দেখেছেন বাকিদের যাওয়া-আসা।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ভাল শুরু করতে পারেনি ভারতও। আঁটসাঁট বোলিংয়ে প্রতিপক্ষকে চেপে ধরেছিলেন মারুফা আক্তার, সানজিদা খাতুন মেঘলারা। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে শ্বেতা সেহরাওয়াতকে তুলে নেন বাঁহাতি স্পিনার নাহিদা। খানিক পর ইউ ছেত্রীকে ফেরান রাবেয়া খান। গঙ্গাদি তিশাকে রান করতে দেননি সুলতানা খাতুন।
তবে দীনেশ বৃন্দা , কানিকা আহুজাদের আটকানো যায়নি। বৃন্দা ২৯ বলে সর্বোচ্চ ৩৬ রান করেন। কানিকা খেলেন ২৩ বলে ৩০ রানের ইনিংস। এদিনও বাংলাদেশের সেরা বোলার ছিলেন নাহিদা। ৪ ওভার বল করে ১৩ রানে নেন ২ উইকেট। নাহিদা পরে ব্যাট হাতেও ২২ বলে ১৭ রানে অপরাজিত ছিলেন।
ভারতের জয়ে সবচেয়ে বড় অবদান রাখেন অফ স্পিনার শ্রেয়াঙ্কা পাটিল। ১৩ রানের বিনিময়ে পাটিল নেন ৪ উইকেট।