তার বিরুদ্ধে দুর্ঘটনার তদন্তকাজে বাধা দেয়ার অভিযোগে মামলা করেছেন ফেডারেল প্রসিকউটররা। আদালতে দোষ প্রমাণিত হলে তার সর্বোচ্চ ২০ বছরের জেল হতে পারে।
২৯ বছর বয়সী ইউটিউবার ও পাইলট জ্যাকোব ২০২১ সালের নভেম্বরে ক্যালিফোর্নিয়ার স্যান্টা বারবারা এয়ারপোর্ট থেকে একাই প্ল্যানে উড়াল দেন। সঙ্গে ছিল সেলফি স্টিক ও প্যারাসুট। বিমানটিতে আগেই একটি ক্যামেরা সেটা করা ছিল।
উড্ডয়নের ৩৫ মিনিট পরে লস প্যাড্রেস ন্যাশনাল ফরেস্টে প্ল্যানটি বিধ্বস্ত হয়। এর আগেই তিনি প্যারাসুটের সাহায্যে নিরাপদে ল্যান্ড করতে সক্ষম হন। ক্র্যাশের সময় ধারণ করা ভিডিও নিজের ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করে দুর্ঘটনা বলে দাবি করেন। শুক্রবার সকাল পর্যন্ত ভিডিওটির ভিউ ২.৯ মিলিয়ন।
ফেডারেল প্রসিকিউটররা বলেছেন, প্লেন ক্র্যাশের পর ঘটনাস্থল থেকে আলামত মিটিয়ে ফেলেন জ্যাকোব।
ইউএন জাস্টিস ডিপার্টমেন্ট বৃহস্পতিবার জানায়, দোষ স্বীকার করে নেয়ার আবেদন করেছেন এই ইউটিউবার। আবেদনে তিনি দাবি করেছেন, একটি পণ্যের স্পন্সরশিপ চুক্তির অংশ হিসেবে তিনি এ ঘটনা ঘটান।
অ্যামেরিকান অ্যাটর্নি অফিস ফর ক্যালিফোর্নিয়ার সেন্ট্রাল ডিস্ট্রিক্ট বিবৃতি দিয়ে বলেছে, ‘জ্যাকোবের গন্তব্যে পৌঁছানোর কোনো পরিকল্পনাই ছিল না, বরং তিনি স্বেচ্ছায় বিমান থেকে ঝাঁপিয়ে পড়েন এবং প্যারাস্যুট ব্যবহার করে অবতরণ করেন। এরপর বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। পুরো ঘটনাই ক্যামেরায় ধারণ করেছিলেন জ্যাকোব।’
প্রসিকিউটাররা জানান, তিনি পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে ক্র্যাশের সব আলামত ধ্বংস করে ফেলেন ও প্ল্যানে সেট করা ক্যামেরার ফুটেজ নিয়ে হেলিকপ্টারে করে উড়াল দেন।
তিনি পরে ন্যাশনাল ট্রান্সপোর্টেশন সেফটি বোর্ডকে দুর্ঘটনার বিষয়টি জানালে শুরু হয় তদন্ত।
তাকে কিছুদিনের মধ্যেই আদালতে হাজির করা হবে।