এরদোয়াঁই তুর্কিয়ের নেতা

টিবিএন ডেস্ক

মে ২৮ ২০২৩, ২২:২২

এরদোয়াঁই তুর্কিয়ের নেতা
  • 0

তুর্কিয়ের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের রান-অফে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কেমাল কিলিচদারোলুকে পরাজিত করে বিজয়ী হয়েছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়াঁ। এরই মধ্যে তাকে অভিনন্দন জানাতে শুরু করেছেন বিশ্বনেতারা।

দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের বরাতে আল জাজিরার প্রতিবেদনে জানানো হয়, ৯৭ শতাংশ ভোট গণনায় ৫২.১ শতাংশ ভোট পেয়েছেন এরদোয়াঁ। তার প্রতিদ্বন্দ্বী বিরোধী জোটের প্রধান কিলিচদারোলু পেয়েছেন ৪৭.৯ শতাংশ ভোট। 

জয় নিশ্চিতের পর ইস্তাম্বুলের উস্কুদারে সমর্থকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে এরদোয়াঁ বলেছেন, নির্বাচনের একমাত্র জয় হয়েছে দেশের, এর মধ্য দিয়ে ‘তুর্কিয়ে শতাব্দির’ দরজা খুলে গেছে।

তিনি বলেন, ‘আমাদের জনগণের অনুগ্রহে দ্বিতীয় দফার নির্বাচন সম্পন্ন হলো… রাষ্ট্রের প্রতিটি নাগরিক আগামী পাঁচ বছরের জন্য আবারও আমাদের হাতে তুর্কিয়ের শাসনের দায়িত্ব সমর্পণ করেছেন। তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা।

‘আল্লাহর ইচ্ছায় আমরা আপনাদের আস্থার মর্যাদা রক্ষা করব, যেমনটা গত ২১ বছর ধরে আমরা করে আসছি।’

‘রান-অফ’ ভোটের আগে ‘তুর্কিয়ে শতাব্দিতে’ দেশকে ঐক্যবদ্ধ করার মাধ্যমে নতুন যুগের সূচনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন এরদোয়াঁ।

তুর্কিয়েতে প্রতি পাঁচ বছর পরপর নির্বাচন হয়। প্রেসিডেন্ট প্রার্থীদের মনোনয়ন দেয় সাবেক পার্লামেন্ট নির্বাচনে পাঁচ শতাংশ ভোটার সমর্থন পেয়েছে এমন দল অথবা মনোনয়ন প্রার্থীদের সমর্থনে কমপক্ষে ১০০ হাজার স্বাক্ষর সংগ্রহ করেছেন তারা। প্রথম রাউন্ডে যে প্রার্থী ৫০ শতাংশ এর বেশি ভোট পান তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। তবে কোনও প্রার্থী সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট না পেলে প্রথম রাউন্ডে সর্বাধিকসংখ্যক ভোট পাওয়া দুই প্রার্থীর মধ্যে নির্বাচনটি দ্বিতীয় দফায় (রান-অফ) অনুষ্ঠিত হয়।

এবার প্রথম দফার নির্বাচনে এরদোয়াঁ পান ৪৯.৫২ শতাংশ ভোট। তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী কিলিচদারোলু পান ৪৪.৮৯ শতাংশ ভোট। এরপর রান-অফ ভোটে তুর্কিয়ের ক্ষমতা রয়ে গেল এরদোয়াঁর হাতের মুঠোয়।

দেশটির দক্ষিণ ও সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে ভূমিকম্পে ৫০,০০০-এর বেশি প্রাণহানি এবং ৫.৯ মিলিয়নেরও বেশি বাস্তুচ্যুত হওয়ার ঘটনার প্রায় চার মাসের মধ্যে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এই নির্বাচন। বিশ্লেষকদের দাবি, দেশটির সাম্প্রতিক গুরুতর অর্থনৈতিক সংকটের পেছনে এরদোয়াঁ সরকারের অগণতান্ত্রিক কার্যক্রম দায়ী। 

তবে এসব সমালোচনা সত্ত্বেও জিতে গেলেন ২০ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা এই নেতা। এর আগে টানা ১৫ বছর ক্ষমতায় ছিলেন আধুনিক তুর্কিয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও কঠোর সেক্যুলার নেতা মোস্তফা কামাল আতাতুর্ক।


0 মন্তব্য

মন্তব্য করুন