প্রাথমিকভাবে শ্রিভপোর্ট পুলিশ জানিয়েছিল যে, গুলিতে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার চতুর্থ ব্যক্তির মরদেহ পাওয়া গেছে। শ্রিভপোর্ট ডিস্ট্রিক্ট এ-এর কাউন্সিলউইম্যান ট্যাবাথা টেইলর জানান, ঘণ ঝোপ ও লম্বা ঘাসে ঢাকা একটি এলাকায় চতুর্থ মৃতদেহটি পাওয়া যায়।
এর আগে শ্রিভপোর্ট পুলিশ লুইটেন্যান্ট ভ্যান রে জানিয়েছিলেন, গুলির খবরে ঘটনাস্থলে পৌঁছে অফিসাররা দুটি মরদেহ উদ্ধার করেন। আহতদের হাসপাতালে নেয়ার পর আরেক জনের মৃত্যু ঘটে। আহত বাকি ছয় জনের শারীরিক অবস্থা এখনও জানা যায়নি।
রে জানান, ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের উদ্ধারে অনেক বেগ পেতে হয়েছে। ফোর্থ অফ জুলাইয়ের উদযাপন থাকায় ঘটনাস্থলে প্রচুর যানবাহন ছিল। এছাড়া ‘লোকজনের প্রচুর ভিড়’ থাকায় উদ্ধার কার্যক্রম ব্যাহত হয়।
স্থানীয় কাউন্সিলওমেন টাবাথা টেলর বলেন, ইন্ডিপেন্ডেন্স ডে উদযাপনে এলাকাবাসী বেশ ‘উচ্ছ্বসিত’ ছিলেন। তবে ম্যাস শ্যুটিং তাদের আনন্দ-উল্লাসকে ‘বিপর্যয়ে’ পরিণত করেছে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের কমিউনিটি এখন ফোর্থ অফ জুলাইয়ের উদযাপনেও ম্যাস শ্যুটিংয়ের শিকার হচ্ছে, কারণ কিছু বিকারগ্রস্ত ব্যক্তি অস্ত্র নিয়ে সাধারণ মানুষকে গুলি করছে।
‘মানুষ, শিশুরা জীবন বাঁচাতে নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য দিগ্বিদিক ছুটেছে। আমরা রাস্তায় নিখোঁজ স্বজনের খোঁজে পরিবারের কান্না ও চিৎকার শুনেছি। কেউ কেউ তো কোন দিকে পালাতে হবে তাও বুঝতে পারছিলেন না। আমরা খুবই মর্মাহত।’