সিএনএনকে দেয়া টেলিফোন সাক্ষাৎকারে ৫৩ বছর বয়সী হুইল্যান বলেন, ‘আমি প্রতিদিনই ইতিবাচক রয়েছি। আমার আত্মবিশ্বাস যে (মুক্তির প্রক্রিয়ার) চাকা ঘুরছে… আমি শুধু আশা করি যে সবকিছু যেন একটু দ্রুত হয়।’
রাশিয়ার রাজধানী মস্কোর একটি হোটেল থেকে ২০১৮ সালে তাকে গ্রেফতার করে সেদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তাকে গুপ্তচরবৃত্তির দায়ে ১৬ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। বরাবরই নিজেকে নির্দোষ দাবি করে আসছেন হুইল্যান।
সম্প্রতি ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে ইউএস স্টেইট ডিপার্টমেন্ট জানিয়েছে, বন্দি বিনিময়ের মাধ্যমেই হুইল্যানকে রাশিয়ার জেল থেকে মুক্ত করা সম্ভব। এটিই এখন সবচেয়ে বাস্তবসম্মত প্রক্রিয়া। এর মাধ্যমে হুইল্যানের পাশাপাশি মুক্ত করা যাবে সেদেশে বন্দি ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের সাংবাদিক ইভান গের্শকোভিচ ও অন্য অ্যামেরিকানদেরও।
এই প্রক্রিয়ায় গত ডিসেম্বরে অ্যামেরিকায় বন্দি রাশিয়ান অস্ত্র ব্যবসায়ী ভিক্টর বাউটের বিনিময়ে সেদেশে বন্দি অ্যামেরিকান বাস্কেটবল প্লেয়ার ব্রিটনি গ্রিনারকে ছাড়িয়ে আনা হয়।
সম্প্রতি রাশিয়ায় গ্রেফতার সাংবাদিক গের্শকোভিচকে মুক্ত করে আনার বিষয়টিই বাইডেন প্রশাসন প্রাধান্য দেবে বলে আশঙ্কা হুইল্যানের। তিনি ধারণা করছেন, এতে তার মুক্তি পিছিয়ে যেতে পারে।
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘মি. প্রেসিডেন্ট, আমি ৫২ মাসেরও বেশি সময় ধরে এখানে বন্দি। রাশিয়ায় আমার একমাত্র অপরাধ ছিল যে আমি অ্যামেরিকান নাগরিক।
‘অনুগ্রহ করে আমাকে ফিরিয়ে আনায় আপনার প্রশাসনের প্রতিশ্রুতির প্রতি একটু নজর রাখবেন। আমার জীবনকে প্রাধান্য দিয়ে আমাকে ঘরে ফেরান।’