আইস কি উপযুক্ত কারণ ছাড়া আপনাকে গ্রেপ্তার করতে পারবে?

টিবিএন ডেস্ক

প্রকাশিত: জুলাই ২১ ২০২৫, ২৩:৫১

আইস এজেন্টদের হাতে আটক এক অভিবাসী। ছবি: এপি

আইস এজেন্টদের হাতে আটক এক অভিবাসী। ছবি: এপি

  • 0

‘জাজ বলছে যে, আপনি কোনো বিশেষ গোষ্ঠীকে টার্গেট করতে পারেন না এবং কোনো বিশেষ জায়গায় টার্গেট করতে পারেন না এবং কারও বিশেষ অ্যাপিয়ারেন্সের জন্য তাদেরকে অ্যারেস্ট করতে পারেন না উইদাউট প্রবেবল কজ এবং এইটাতেই জাজ অর্ডার দিয়েছেন যে, ইউ হ্যাভ টু স্টপ ইমিডিয়েটলি।’

দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর নির্বাচনি প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী অভিবাসীদের বিতাড়ন ত্বরান্বিত করতে চেষ্টা চালাচ্ছে প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বাধীন প্রশাসন। ফেডারেল সংস্থা ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট-আইস প্রতিনিয়ত বিভিন্ন এলাকায় অভিবাসীদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালাচ্ছে। এমন বাস্তবতায় অভিবাসী কমিউনিটির মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।

এমন প্রশ্নও তৈরি হয়েছে যে, আইস উপযুক্ত কারণ ছাড়া কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারবে কি না। টিবিএনকে সে প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন অ্যাটর্নি ইশরাত সামি।

টিবিএন: বিচারকরা একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রিলিমিনারি ইনজাংশন (স্থগিতাদেশ) জারি করেছেন এবং এই ইনজাংশনে তারা বলেছেন যে, আইনি অনুমতি ছাড়াই বিশেষত কারও চেহারা বা নির্দিষ্ট স্থানে উপস্থিত দেখে কাউকে আটক, গ্রেপ্তার বা তল্লাশি করা যাবে না। আরও বলা হয়েছে যে ফেডারেল এজেন্টদেরকে, অবিলম্বে আইনজীবীদের কাছে প্রবেশাধিকার দেওয়ার নির্দেশ এবং আরও বলা হয়েছে, এর ফলে মার্কিন ফেডারেল সরকার যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের চতুর্থ ও পঞ্চম সংশোধনী লঙ্ঘন করেছে। অর্থাৎ এ পর্যন্ত যা কার্যকলাপ আইসের দ্বারা হচ্ছে, তার প্রেক্ষিতে এই বিষয়গুলো এবং আপনার কাছে জানতে চাইব যে, এই আদেশে আর কী কী নির্দেশনা রয়েছে এবং আমরা কি এতে বলতে পারি যে, এই আদেশের ফলে আমেরিকায় আইনের শাসন এবং ক্ষমতার বিভাজন তত্ত্ব বা সেপারেশন অব পাওয়ার কার্যকরভাবে কাজ করছে এবং এখন থেকে মানুষের মনে এই যে একটা অহেতুক ভয়, সেই ভয়টা দূর হবে।

সবশেষ প্রশ্নটি রাখব আপনার কাছে এই ফেডারেল স্টেটের যে, ফেডারেল জাজরা যে অর্ডারটা দিয়েছেন, এটা কি সারা দেশের জন্য প্রযোজ্য হবে কি না।

ইশরাত সামি: ধন্যবাদ, রানা ভাই। আপনার শেষ প্রশ্নের উত্তরটা আমি সবার আগে দিব। কারণ আমাদের দর্শকরা এটা শোনার জন্য বেশি আগ্রহী। আমার মনে হচ্ছে আসলে গত দুই-তিন সপ্তাহ আগে হলে আমি বলতাম যে, হ্যাঁ প্রযোজ্য হবে, কিন্তু অ্যাকচুয়ালি এটা অনলি সেভেন কাউন্টি, যেখানে ডিসিশন হয়েছে, সেখানকার আশেপাশে সেভেন কাউন্টিতে অ্যাপ্লাই হবে।

তার মানে হচ্ছে যে, অন্য স্টেইট অথবা অন্য জায়গায় যদি সিমিলার কাইন্ড অফ প্রবলেম হয়, তাহলে সেই কেসগুলো আবার ওই স্টেটের কোর্টে নিতে হবে। যদিও এই কেসের ডিসিশনটা সবাইকে, মানে ব্ল্যাংকেটভাবে আমরা অ্যাপ্লাই করতে পারব না, কিন্তু এটা আমরা উদাহরণস্বরূপ অন্য কোর্টে কেস নিয়ে এই লটা অ্যাপ্লিকেবল করা সম্ভব যে, ওই কোর্টে জাজ এ রায় দিয়েছে।

আইস যেমন ফ্লোরিডাতে দেখা গেছে বাস স্টপে গিয়ে ডিটেইন করছিলেন এবং দেখা গেছে ওখানে বেশির ভাগ ল্যাটিনোরা উপস্থিত ছিল। তারপরে ফার্ম হাউসে গিয়েছেন। তারপরে হচ্ছে যে আপনার গ্যাস স্টেশনে। এ রকম বিভিন্ন জায়গায় আইস টার্গেট করছিল এবং একটা বিশেষ গ্রুপকে।

সো জাজ যেটা বলেছেন যে, আপনি যদি আন্ডার ইউএস কনস্টিটিউশনের ফোর্থ অ্যামেন্ডমেন্ট আমাদেরকে দেয় হচ্ছে প্রটেকশন অ্যাগেইনস্ট দ্য আনরিজনেবল সার্চ অ্যান্ড সিজার। তার মানে হচ্ছে যে, আইস যদি আপনাকে অ্যারেস্ট করতে আসে, তাদের কাছে প্রবেবল কজ লাগবে, তাদের কাছে কারণ থাকতে হবে কেন তারা আপনাকে অ্যারেস্ট করছেন এবং যদি সেটা না থাকে, তাহলে অন্য যেটা থাকতে হবে, সেটা হচ্ছে অ্যারেস্ট ওয়ারেন্ট এবং অ্যারেস্ট ওয়ারেন্টে স্পেসিফিক পারসনের নাম থাকতে হবে, যেটা আইসের কাছে ছিল না।

সো এই জাজ বলছে যে, আপনি কোনো বিশেষ গোষ্ঠীকে টার্গেট করতে পারেন না এবং কোনো বিশেষ জায়গায় টার্গেট করতে পারেন না এবং কারও বিশেষ অ্যাপিয়ারেন্সের জন্য তাদেরকে অ্যারেস্ট করতে পারেন না উইদাউট প্রবেবল কজ এবং এইটাতেই জাজ অর্ডার দিয়েছেন যে, ইউ হ্যাভ টু স্টপ ইমিডিয়েটলি।

ফেডারেল এই অ্যারেস্টটা স্টপ করতে হবে এবং সেকেন্ড যেটা বলেছে যে, যাদেরকে ডিটেইন করা হচ্ছে, অ্যারেস্ট করা হচ্ছে, তাদেরকে ডিউ প্রসেস অফ ল দিতে হবে। তার মানে হচ্ছে তাদেরকে কোর্টে পাঠাতে হবে এবং কোর্টের যে সময়সূচি আছে, সেটা, ডিউ প্রসেসটা তাদেরকে দিতে হবে এবং তাদেরকে দিতে হবে রাইট টু অ্যান অ্যাটর্নি।

তার মানে হচ্ছে যে, আইনি সহায়তা। আইনজীবীদের একটা লিস্ট আইস দেয় সবাইকে যে, তারা ফ্রিতে আইন কনসালটেশন করতে পারে লইয়ারের সাথে অথবা তারা প্রাইভেটলি কোনো লইয়ার হায়ার করতে পারে। সো এই জিনিসগুলো জাজ ডিসিশনে দিয়েছে যাতে আমাদের প্রটেক্টেড হয় সিভিল রাইটটা আন্ডার দ্য কনস্টিটিউশন। আমাদের যে টেনথ অ্যামেন্ডমেন্ট আছে ওর মধ্যে বিল অফ রাইটে যে আমাদের সিভিলিয়ানদের যে রাইট। সো ইভেন দো দে আর আনডকুমেন্টেড, স্টিল দে হ্যাভ রাইট আন্ডার দ্য কনস্টিটিউশন। এটাই বোঝা যাচ্ছে যে, এ দেশে আইনে যেমন সেপারেশন অফ পাওয়ার আছে যে, গভর্নমেন্ট-কোর্ট এরা একজন আরেকজনের পাওয়ার মিসইউজ যেন না করতে পারে।

তো এখন আমাদের কোর্ট যেটা দেখাচ্ছে যে, অ্যাডমিনিস্ট্রেশন যেটা মিসইউজ করছে পাওয়ারের, কোর্ট সেটাকে স্টপ করে দিচ্ছে। ভেরি গুড নিউজ। আমাদের হতাশ হওয়ার কোনো কারণ নাই।