নিউ ইয়র্ক পুলিশে পদোন্নতি পেলেন গুলিতে নিহত দিদারুল

টিবিএন ডেস্ক

প্রকাশিত: জুলাই ৩১ ২০২৫, ২২:৪৭ হালনাগাদ: নভেম্বর ৭ ২০২৫, ১৬:৫৬

ম্যানহাটনে সোমবার গুলিতে প্রাণ হারানো এনওয়াইপিডির বাংলাদেশি কর্মকর্তা দিদারুল ইসলাম। ছবি:  আইউইটনেস নিউজ

ম্যানহাটনে সোমবার গুলিতে প্রাণ হারানো এনওয়াইপিডির বাংলাদেশি কর্মকর্তা দিদারুল ইসলাম। ছবি: আইউইটনেস নিউজ

  • 0

দিদারুলকে ডিটেকটিভ বা গোয়েন্দা পদে পদোন্নতি দেওয়া হয় বলে জানায় সিবিএস নিউজ।

মিডটাউন ম্যানহাটনে সোমবার অফিস ভবনে বন্দুক হামলায় যে চারজন প্রাণ হারান, তাদের মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত নিউ ইয়র্ক সিটি পুলিশ ডিপার্টমেন্ট-এনওয়াইপিডির কর্মকর্তা দিদারুল ইসলাম।

বাংলাদেশি এ কর্মকর্তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন এনওয়াইপিডিসহ নিউ ইয়র্ক সিটির গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তারা। তারা উচ্ছ্বসিত প্রশংসাও করেছেন দিদারুলের।

নিউ ইয়র্ক সিটি পুলিশ কর্মকর্তাসহ নগরের কর্মকর্তাদের ব্যাপক অংশগ্রহণে বৃহস্পতিবার দিদারুলের জানাজা সম্পন্ন হয়। তার দাফন হয় নিউ জার্সির টটোয়ার একটি বেসরকারি কবরস্থানে।

দাফনের আগে দিদারুলকে ডিটেকটিভ বা গোয়েন্দা পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়।

মরণোত্তর এ পদোন্নতির বিষয়ে এনওয়াইপিডি বৃহস্পতিবার ফেসবুকে একটি পোস্ট দেয়।

এতে জানানো হয়, নগর রক্ষায় স্বর্বস্ব বিলিয়ে দিয়েছেন দিদারুল। আজ ডিটেকটিভ ফার্স্ট গ্রেডে মরণোত্তর পদোন্নতি দিয়ে তাকে সম্মানিত করেছেন পুলিশ কমিশনার জেসিকা টিশ।

এনওয়াইপিডির পোস্টে বলা হয়, দিদারুলকে সবসময় মনে রাখা হবে। এনওয়াইপিডির প্রতিটি কর্মকর্তার হৃদয়ে বেঁচে থাকবে ডিটেকটিভ দিদারুলের পরম্পরা।

সিবিএস নিউজের খবরে উল্লেখ করা হয়, ব্রঙ্কসের পার্কচেস্টার জামে মসজিদে জানাজা হয় দিদারুলের। জানাজাস্থলের আশপাশে ব্যারিকেড দেওয়া হয়। এতে অংশ নেন হাজারো পুলিশ কর্মকর্তা এবং দিদারুলের স্বজনসহ শত শত মানুষ।

জানাজায় এনওয়াইপিডি কমিশনার জেসিকা টিশ বলেন, দিদারুল নায়ক হিসেবে বেঁচে ছিলেন। তিনি নায়কোচিতভাবেই মৃত্যুবরণ করেছেন।

টিশ জানান, দিদারুল দুই নগরের সন্তান। তিনি বাংলাদেশে বেড়ে উঠে ২০ বছর বয়সে উন্নত জীবনের প্রতিশ্রুতি নিয়ে নিউ ইয়র্কে আসেন। তিনি কাঙ্ক্ষিত জীবন গঠন করে সেবার মাধ্যমে তার প্রতিশ্রুতি পূরণ করেছেন।

নিউ ইয়র্কে দিদারুলের ক্যারিয়ারের শুরুটা হয় স্কুল সেইফটি এজেন্ট হিসেবে। তিনি পরবর্তী সময়ে পেট্রল অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পান।

নিবেদিত পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে ৩৬ বছর বয়সী দিদারুলকে স্মরণ করেছেন সহকর্মীসহ অনেকে।

কয়েক সপ্তাহ পরই তৃতীয় সন্তানের বাবা হওয়ার কথা ছিল তার, কিন্তু তার আগেই অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী, দুই সন্তান, স্বজন ও অনেক গুণগ্রাহী রেখে বন্দুক হামলায় প্রাণ দিতে হয়েছে তাকে।