ঐতিহাসিক ৭ জুন উপলক্ষে বুধবার সকালে ঢাকার বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
এর একদিন আগেই আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও কেন্দ্রীয় ১৪ দলের মুখপাত্র আমির হোসেন আমু ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে প্রয়োজনে জাতিসংঘ প্রতিনিধির মধ্যস্থতায় বিএনপির সঙ্গে আওয়ামী লীগ আলোচনায় বসতে পারে।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় বিএনপির সঙ্গে ‘আলোচনায় আগ্রহী’ আ. লীগ
তবে বুধবার ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপির সঙ্গে আলোচনার সিদ্ধান্ত এখনও নেইনি। আমাদের দেশে এমন কোনো রাজনৈতিক সংকট হয়নি যে জাতিসংঘের এখানে ইন্টারফেয়ার করতে হবে। জাতিসংঘ মধ্যস্থতা করবে এই রকম কোনো সংকট স্বাধীন বাংলাদেশে হয়নি।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমাদের দেশে আমরা আলোচনা করব, এটা নিজেদের সমস্যা, নিজেরাই সমাধান করব।’
বাংলাদেশের গণতন্ত্র এখন অনেক পরিপূর্ণ হয়েছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘গণতন্ত্র প্রাতিষ্ঠানিকভাবে এগিয়ে চলছে। কাজেই এখানে বাইরের কোনো মধ্যস্থতা, বাইরের কোনো হস্তক্ষেপের দরকার নেই। আমাদের নিজেদের সমস্যা নিজেরাই সমাধান করব। সময় বলে দেবে কখন কী হবে। আপাতত আলাপ-আলোচনার কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।’
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে নির্বাচন কমিশন আরও গণতান্ত্রিক হয়েছে। নির্বাচন ব্যবস্থা আরও গণতান্ত্রিক হয়েছে। গণতন্ত্র হঠাৎ করে রাতারাতি প্রতিষ্ঠা পায় না। প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে সময় লাগে। একটা প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়া হয়।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি নেতারা আমাদের নেত্রীকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে। তাদের সঙ্গে আমরা কী আলোচনা করব? তারা আজ নালিশের রাজনীতি করছে। কী পেয়েছে? তারা অ্যামেরিকায় নালিশ করেছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছে নালিশ করে তারা কী পেয়েছে? পেয়েছে ঘোড়ার ডিম। এখন তারা জাতিসংঘের তত্ত্বাবধান চায়। এই তত্ত্বাবধানে আবার নতুন সূত্র তুলে ধরছে।’
তিনি বলেন, ‘সংকটে সমাধান হলো আমাদের সংবিধান। সংকটে আর কোনো সমাধান নেই। সংবিধানই যদি কোনো দেশের সমাধান না দিতে পারে তাহলে সে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা পাবে কী করে?’