সিবিএস মর্নিংসে দেয়া সাক্ষাৎকারে, বিশাল ব্যয় বিল নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন ডোজ প্রধান ইলন মাস্ক। তার অভিযোগ, এর মাধ্যমে ডোজের কার্যক্রমকে অবমূল্যায়ন করা হয়েছে।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এটাকে ‘বিগ বিউটিফুল বিল’ আখ্যা দিলেও, মাস্ক মনে করেন, এই বিল একই সাথে বড় এবং সুন্দর হতে পারে না।
সেনেটে পাশের অপেক্ষায় থাকা বিলটি, ট্যাক্স ছাড়ের দিক দিয়ে ট্রাম্পের ২০১৭ সালের বিলকেও ছাড়িয়ে যাবে। এছাড়া, এই বিলে সীমান্ত নিরাপত্তার পেছনে খরচও আগের চেয়ে অনেকটাই বাড়ানো হয়েছে।
কংগ্রশনাল বাজেট অফিসের তথ্যমতে, কর ছাড়ের এই প্রস্তাব বাস্তবায়িত হলে ২০৩৪ সালের মধ্যে, বাজেট ঘাটতি বেড়ে দাঁড়াবে ৩ দশমিক ৮ ট্রিলিয়ন ডলারে।
এদিকে, ইলন মাস্কের এমন মন্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে, প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প বলেন, এই বিল যদি পাশ না হয় তবে দেশে কর বেড়ে ৬৫ শতাংশে গিয়ে দাঁড়াবে এবং বাড়বে এর সাথে সংশ্লিষ্ট নানা সমস্যা।
তিনি আরও বলেন, এই বিল নিয়ে আলোচনা হবে। এই বিলের সব অংশ নিয়ে পুরোপুরি সন্তুষ্ট নন বলেও জানান প্রেসিডেন্ট।
ট্রাম্প দাবি করেন, এই বিল পাশ হলে, মানুষ দেশের ইতিহাসে সর্বনিম্ন করের হার উপভোগ করবে। এছাড়া, মধ্য ও নিম্ন আয়ের মানুষেরা নানা সুযোগ-সুবিধা পাবে বলেও দাবি করেন তিনি।
ব্যয় বিল ঘিরে ট্রাম্প-মাস্কের এই মুখোমুখি অবস্থানের বিষয়ে, ডেমোক্র্যাটিক কৌশলবিদ অ্যামেশিয়া ক্রস সিএনএনকে বলেন, তিনি মনে করেন, ইলন মাস্ক এমন মন্তব্যের মাধ্যমে, নিজের অস্তিত্বের পাশাপাশি বর্তমান প্রশাসনের ওপর নিজের প্রভাবের বিষয়টি তুলে ধরার চেষ্টা করছেন।
কংগ্রেশনাল প্রোগ্রেসিভ ককাসের চেয়ার, গ্রেগ কাসার বলছেন, এই বিল কোনভাবেই জনবান্ধব নয় তাই, ট্রাম্প ও মাস্কের মতের অমিলের বিষয়ে মনোযোগ দিতে গিয়ে, এই বিষয়টি ভুলে গেলে চলবে না। যেকোনো মূল্যেই এই বিল পাশ প্রতিরোধের হুঁশিয়ারি দেন তিনি।